নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি কর্মচারীদের অধিকাংশরাই রবিবারের মতো শনিবার ছুটি পান। তবে কোন কোন অফিস রয়েছে যেগুলি শনিবারও খোলা থাকে। এই সকল শনিবার খোলা থাকা অফিস কাছারির কর্মচারীদের জন্য ২৭ জুলাই শনিবার হাফ বেলা পর ছুটি ঘোষণা (WB Half Holiday) করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ করেই তিনি এমন ঘোষণা করলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার ঠিক সকাল ১০টা ১ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমন ছুটির ঘোষণা করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, “আজ রাজ্য সরকারী যে যে অফিস, কর্পোরেশন ইত্যাদি খোলা ররেছে সেখানে অর্ধদিবস ছুটি থাকবে।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী যে সকল অফিস আজ খোলা থাকে সেগুলি হাফ বেলা অর্থাৎ অর্ধ দিবসের পর ছুটি হয়ে যাবে।
আসলে হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ঘোষণা করেছেন মূলত রাজ্যের প্রাক্তন কারা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর মৃত্যুর কারণে। বাম আমলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই দুই দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এবং ভুগছিলেন। শনিবার সকালবেলায় ৬ টা ৪০ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
আরও পড়ুন ? Kolkata Metro: কলকাতার ৩টি মেট্রো স্টেশন নিয়ে আর থাকবে না কাউন্টার, তাহলে এবার টিকিট কাটবেন কীভাবে?
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের ওই প্রাক্তন মন্ত্রীর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। তবে সেই চিকিৎসার খরচ এতটাই ব্যয়বহুল ছিল যে তা পরিবারের পক্ষে সামলানো অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর্থিক অনটনে যখন চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। গত ১৬ জুলাই তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
বিশ্বনাথ চৌধুরী ১৯৭৭ সালে বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আরএসপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। এরপর থেকে টানা ৬ বার ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি বিধায়ক হন। তবে তাকে ২০১১ সালে তৃণমূলের শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হতে হয়। যে বারই রাজ্যে পালাবদল হয়েছিল। তবে এরপর আবার ২০১৬ সালে তিনি বালুরঘাট থেকে জয় যুক্ত হয়ে বিধায়ক হন। ৭ বারের এমন একজন বিধায়ক এবং ২৪ বছরের মন্ত্রীকে নিজের চিকিৎসা চালানোর জন্য অর্থ জোগাড়ে হোঁচট খেতে হচ্ছিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষমেশ তার পাশে দাঁড়ালেও তাকে শেষ রক্ষা করা গেল না।