নিজস্ব প্রতিবেদন : এবারের বিধানসভা ভোট ৮ দফায় হলেও দ্বিতীয় দফার দিকেই নজর রাজ্যের বাসিন্দারা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞদের। কারণ এই দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে রাজ্যের ৭ হেভিওয়েটের। যাদের মধ্যে অবশ্যই রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন আরও পাঁচজন। আর এই ৭ জনের ভাগ্য নির্ধারণ হবে পাঁচটি কেন্দ্র থেকে।
নন্দীগ্রাম : এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী এবং সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই বিধানসভা কেন্দ্রে গত নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ১,৩৪,৬২৩টি। ৫৩,৩৯৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বামফ্রন্ট প্রার্থী আব্দুল কবির শেখ। বিজেপির বিজন কুমার দাস পেয়েছিলেন ১০,৭১৩।
ডেবরা : এই বিধানসভা কেন্দ্রে এবার সম্মুখ সমরে দুই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। একজন হলেন তৃণমূলের হুমায়ুন কবির এবং অন্যজন হলেন বিজেপির ভারতী ঘোষ। এই কেন্দ্রে এবার এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কেউ জয়লাভ করেন, নাকি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী অথবা অন্য কেউ জয়লাভ করেন তার দিকেই তাকিয়ে আমজনতা।
খড়গপুর সদর : এই কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী প্রদীপ সরকার। ২০১৬ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও পরে উপনির্বাচনে এই আসনটি চলে যায় তৃণমূলের দখলে। যে কারণে হেভিওয়েট প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য কি হচ্ছে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তার দিকে তাকিয়ে সকলে।
সবং : হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের হয়ে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মানস ভুঁইয়া। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টানা ছয় বার জয়লাভ করেছেন মানস ভুঁইয়া। যে কারণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে কি মানস ভুঁইয়া সেই জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারেন তার দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের বাসিন্দারা।
[aaroporuntag]
কেশপুর : ২০১৬ সালে ১ লাখের বেশি ভোটে কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা। এবার এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন শিউলি সাহার বিপক্ষে সংযুক্ত মোর্চার রামেশ্বর দোলুই এবং বিজেপির প্রীতিশ রঞ্জন কুমার। এই জায়গায় শিউলি সাহা আগের রেকর্ড বজায় রাখতে পারেন কিনা তার দিকেই তাকিয়ে এলাকার বাসিন্দারা।