নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই আক্রান্তের সংখ্যা নিরিখে এখন পিছিয়ে নেই বীরভূমও। যে কারণে প্রতিনিয়ত জেলায় বেড়ে চলেছে আশঙ্কা। বীরভূমে আশঙ্কা বৃদ্ধির মূলে রয়েছে আরও একটি কারণ। যা হলো টানা কয়েকদিন ধরে জেলায় বেড়ে চলা মৃত্যু সংখ্যা।
দেশে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলেও বীরভূমে তার আঁচ পৌঁছায় অন্তত মাস দেড়েক পর। প্রথম ভিন রাজ্য থেকে আগত তিন জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর দেখতে দেখতে এই সংখ্যাটা বর্তমানে পৌঁছে গেছে ১৩৮৭ তে। পাশাপাশি জেলায় প্রথম থেকেই আক্রান্তরা করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এরপর হঠাৎ জেলায় করোনাই একজনের মৃত্যু হয়। তারপরেও মৃত্যু সংখ্যাটা বেশ কয়েকদিন ৬ পর্যন্ত পৌঁছে আটকে থাকে। এরপর আবার একজনের মৃত্যু হয়, সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৭। তবে বর্তমানে ৭ থেকে সংখ্যাটা ১১ তে পৌঁছে যায় খুব অল্পসময়ের মধ্যে। মৃতের সংখ্যা ৭ থেকে ১১ তে পৌঁছাতে সময় লাগে ৩০ দিনের কম। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যেই ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনাই।
রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের শুক্রবারের করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বীরভূমে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন। জেলায় বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮৭। তবে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৭ জন। এরপরেই জেলায় মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা দাঁড়ালো ১১১৬। বর্তমানে জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৬০। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে নতুন করে ১ জনের। তবে জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে যেটুকু খবর পাওয়া গেছে তাতে বর্তমানে যে ২৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে তাদের বেশিরভাগ রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এদের মধ্যে বেশিরভাগ সংখ্যক রোগীর কোনো রকম উপসর্গ নেই।
অন্যদিকে বীরভূমে করোনা নিয়ে দিন দিন আশঙ্কা বাড়লেও স্বস্তি দিয়েছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৭ জন করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কারণে এক লাফে সুস্থতার পৌঁছে গেছে ৮০.৪৬ শতাংশে। আর এই সুস্থতার হার বর্তমানে পিছনে ফেলে দিয়েছে অন্যান্য অনেক জেলার সুস্থতার হারকে।