নিজস্ব প্রতিবেদন : বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় জেলায় আগমনের পর থেকেই হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণের সংখ্যা। যেসকল জেলাগুলিতে একসময় সংক্রমণের সংখ্যা ছিল নামমাত্র সেগুলিতেও এখন সংক্রমণের পরিমাণ বেড়েছে বিপুল পরিমাণে। ঠিক একই ভাবে পিছিয়ে নেই বীরভূমও। ইতিমধ্যেই বীরভূমে সংক্রমণের সংখ্যা ১৬০।
গত ২৪ ঘণ্টায় বীরভূমে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে ৩০। আর যার পরেই মোটসংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ১৬০-এ। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় বীরভূমে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন। স্বস্তির খবর এটাই যে জেলায় এখনো পর্যন্ত কারোর মৃত্যুর খবর নেই। অর্থাৎ বর্তমানে জেলায় মোট অ্যাক্টিভ করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৯৭। আর এরই ভিত্তিতে জেলায় তৈরি করা হয়েছে কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকা। সেই তালিকা হিসাবে বর্তমানে বীরভূমে মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৪০। যা মে মাসের ২৬ তারিখে ছিল মাত্র ১০।
এই ৪০টি কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে সবথেকে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে মুরারই ১ ও ২ নম্বর ব্লক এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। যেখানে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১৪। এছাড়াও ময়ূরেশ্বর ১ ও ২ নম্বর ব্লক এলাকায় রয়েছে ৩টি, রামপুরহাটের ১ ও ২ ব্লকে রয়েছে ৪টি, নলহাটির ১ ও ২ এলাকায় রয়েছে ১১টি, ইলামবাজারে ২টি, লাভপুরে ১টি, বোলপুরে ১টি, সাঁইথিয়ায় ৩টি এবং সিউড়িতে ১টি।
তবে এরপরেও প্রতিনিয়ত পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকে জেলায় আসছেন। আবার এক্ষেত্রে নতুন করে একটি নির্দেশিকা এসেছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সেই নির্দেশিকা হল কোন পরিযায়ী শ্রমিকের উপসর্গ না থাকলে তার কোভিড টেস্ট করা হবে না। তবে যে সকল পর্যায়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে এবং যারা নির্দিষ্ট পাঁচ রাজ্য মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, রাজস্থান ও গুজরাট থেকে ফিরবেন তাদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।