নিজস্ব প্রতিবেদন : সময়ের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। মঙ্গলবার প্রথম কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় দেশে করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন। ঠিক তার পরদিন অর্থাৎ বুধবার জানা যায় সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০। আর এই ভাবে দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি উদ্বেগ বাড়াতে শুরু করে সরকারের।
তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাথে অন্যান্য মন্ত্রকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ব্রিটেনের সাথে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ বাড়ানোর। যার পরেই অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ব্রিটেনের সাথে সমস্ত রকম বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই যারা দেশে এসেছেন তাদের কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এয়ারপোর্টে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পরামর্শ হিসেবে চিঠি লেখেন বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়ন্ত্রণে রেখে সাধারণ মানুষ চলে তার দিকে নজর দিতে। পাশাপাশি পরামর্শ দেওয়া হয় নাইট কার্ফু জারি করার ক্ষেত্রেও। আর এই পরামর্শের পর দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই নাইট কার্ফু জারি করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালালেও নাইট কার্ফু জারি করেনি।
A total of 25 cases of mutant United Kingdom virus detected in India after genome sequencing. Four new cases found by NIV, Pune and one new case sequenced in IGIB, Delhi. All 25 persons are in physical isolation at health facilities: Union Ministry of Health#COVID19 pic.twitter.com/HkC2taSkHg
— ANI (@ANI) December 31, 2020
করোনার নতুন স্ট্রেন যে আরও বেশি সংক্রামক তা আগেই জানানো হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে। আর সেই বিশেষজ্ঞদের দাবিকে সত্যি করেই এবার ভারতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে নতুন করে এই নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫ জন। অর্থাৎ বিদেশ ফেরতদের তালিকায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫। আক্রান্ত সকলেই বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।