নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরো নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি হানা দিল রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) বাড়িতে। দমকল মন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা দেওয়ার পর থেকেই মন্ত্রীকে নিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানান কৌতুহল। মন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর? মন্ত্রীর কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কেননা সুজিত বসু এমন একজন মন্ত্রী যিনি চোখ ধাঁধানো শ্রীভূমি দুর্গা পুজোর উদ্যোক্তা।
দমকল বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে থাকা দীর্ঘদিনের মন্ত্রী সুজিত বসুর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তার নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামা থেকে যা জানা যায় তা হল, তিনি ইলেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন ১৯৮০ সালে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন এবং তারপর ইলেভেন পর্যন্ত পড়েছেন। অর্থাৎ সুজিত বসু উচ্চ মাধ্যমিক পাশ নন। তবে সুজিত বসুর শিক্ষাগত যোগ্যতা ইলেভেন পর্যন্ত হলেও তার সম্পত্তি কিন্তু নজরকাড়া।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তার হাতে নগদ টাকা ছিল ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ১২ টাকা। তার স্ত্রীর হাতে নগদ ছিল ১ লক্ষ ৪৯০ টাকা। ব্যাঙ্ক, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ার, এলআইসি সহ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে গাড়ি, বাড়ি, সোনা দানা ইত্যাদি। সব মিলিয়ে তার মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হলো ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৬৫ টাকা। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬০ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৫৬ টাকা।
আরও পড়ুন ? ‘স্টেশনের পাশে এগরোল বিক্রি করতেন সুজিত বসু’, মন্ত্রীর ইতিহাস ফাঁস করলেন সুকান্ত মজুমদার
এর পাশাপাশি সুজিত বসুর মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা এবং তার স্ত্রীর মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তবে এর পাশাপাশি তাদের দুজনের নামে লোনও রয়েছে। সুজিত বসুর নামে ৭১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯২১ টাকার লোন রয়েছে এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৮৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৭৭ টাকার লোন।
সুজিত বসুর সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন সময় বিরোধী নেতাদের তরফ থেকে নানান অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই সকল অভিযোগের মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একসময় দাবী করেছিলেন, ‘স্টেশনের পাশে এগরোল বিক্রি করতেন সুজিত বসু’। তিনি এমন দাবি করার পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছিলেন কিভাবে মাত্র কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন রাজ্যের এই মন্ত্রী?