Murshidabad Toto Registration Fee: লাগবে থার্ড পার্টি ইনসিওরেন্স, এবার খসবে হাজার হাজার টাকা, টোটো চালানোর নিয়ম বদলে দিল প্রশাসন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : টোটো (Toto) নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে নানান ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সংখ্যায় অনেক বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে এই সকল অভিযোগ দিন দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মূলত যানজট থেকে শুরু করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে টোটো চলাচল নিয়ে এমন সব অভিযোগ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পরিবহন দপ্তর নয়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল।

Advertisements

বর্তমানে যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী অধিকাংশ টোটো চালকরা টোটো কিনেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তাদের না থাকে কোন রেজিস্ট্রেশন না থাকে অন্য কোন জরুরী কাগজপত্র। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন অনিয়ন্ত্রিতভাবে টোটোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক সেই রকমই কোনো রকম অসাধু কাজকর্ম হলে পুলিশকে তার তদন্ত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে টোটোর রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত খরচ (Toto Registration Fee) নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হলো।

Advertisements

টোটোর রেজিস্ট্রেশন হিসাবে যে খরচের তালিকা দেওয়া হয়েছে তা থেকেই স্পষ্ট, হাজার হাজার টাকা খরচ হবে টোটো চালকদের পকেট থেকে। এমনই একটি খরচের তালিকা প্রকাশ করেছে মুর্শিদাবাদের আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তর (Murshidabad)। তাদের তরফ থেকে যে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে খরচের তালিকা (Murshidabad Toto Registration Fee) প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিপুল পরিমাণে খরচের পাশাপাশি এবার টোটোতে বাধ্যতামূলকভাবে লাগবে থার্ড পার্টি ইনসিওরেন্স।

Advertisements

আরও পড়ুন ? গুগল নয়, জানেন কে তৈরি করেছিলেন ইউটিউব? জড়িয়ে রয়েছেন এক বাঙালি

যে খরচের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ট্রান্সাকশন চার্জ হিসাবে লাগবে ২০ টাকা, ফিটনেস ইনস্পেকশন সার্টিফিকেটের জন্য লাগবে ৬০০ টাকা, স্মার্ট কার্ডের জন্য লাগবে ২০০ টাকা, শোরুম ইনস্পেকশন ফি হিসাবে লাগবে ২০০ টাকা, সার্ভিস বা ইউসার চার্জ ২০ টাকা, নতুন রেজিস্ট্রেশনের জন্য লাগবে ৬০০ টাকা, ডিলার ট্যাক্স ৩০০ টাকা, এম ভি ট্যাক্স ২৬০ টাকা, অ্যাডিশনাল ইম ভি ট্যাক্স ৪০০ টাকা, টি ডব্লিউ সেস ৬৮ টাকা, হাইপোথেকেশন এদ্দিশন ১৫০০ টাকা।

মুর্শিদাবাদ আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের আরটিও শিবাসিস সরকার জানিয়েছেন, টোটোর দৌরাত্ম কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই শতাধিক টোটো ও ই-রিক্সা অনুমোদন পেয়েছে। আরও অনেকেই রয়েছেন যারা আবেদন জানাচ্ছেন বা জানিয়েছেন। তারাও সঠিক সময়ে তাদের জরুরী সমস্ত কাগজপত্র পাওয়ার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেয়ে যাবেন। যদিও প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন টোটো চালকরা।

Advertisements