Take a tour in Susunia Hill to lap of nature in very cheap rate: সামনেই শীত আসন্ন এবং শীতের এই হালকা রোদ গায়ে মেখে বহু মানুষ বেরিয়ে পড়েন অজানাকে নতুন করে জানার জন্য। বহু মানুষের এই সময় ঘরে থাকতে আর ভালো লাগেনা, তাই তারা বিভিন্ন রকম প্ল্যান করতে থাকেন। ভ্রমণপ্রিয় জাতি বাঙালি প্রত্যেক ঋতুতেই ঘুরতে যাবার বাহানা খোঁজে, আর শীতকাল আসলে তাদের পায়ে যেনো সরষে লেগে যায়। ব্যাগপত্র গুছিয়ে তারা বেরিয়ে পড়ে নিজেদের ডিস্টিনেশন এর উদ্দেশ্য। তেমনি একটি মন ভালো করার ডিস্টিনেশন (Susunia Hill) সম্পর্কে জেনে নিন।
আপনি স্বল্প খরচে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক? কিন্তু সঠিক ডেস্টিনেশন সম্পর্কে জানেন না। একেবারেই চিন্তা করবেন না আপনার সমস্যার সব রকম সমাধান আমরা নিয়ে এসেছি। আজকের এই প্রতিবেদন আপনাকে এমন একটি জায়গার সন্ধান দেবে যেখানে গেলে আপনার মন এবং শরীর দুটোই ভালো হয়ে যাবে। কলকাতা থেকে অল্প দূরত্বেই রয়েছে প্রকৃতির বুকে সুন্দর পাহাড়(Susunia Hill)। কিন্তু সেখানে গেলে আপনার মোটেই বেশি খরচ হবে না।
ভ্রমনপ্রিয় বাঙালি বরাবর এই জায়গাটিকে পছন্দ করে এসেছে। শীতের আমেজ গায়ে মেখে ঘুরে আসুন শুশুনিয়া পাহাড় (Susunia Hill) থেকে। আশা করি জায়গাটি আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে। যারা প্রকৃতির নিস্তব্ধতাকে উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এই জায়গাটি সব থেকে আদর্শ একটি ঘোরার জায়গা। পরিবারের সাথে হোক কিংবা বন্ধুদের সাথে শীতকালে এই জায়গাটি আপনারা বেছে নিতেই পারেন।
বাঁকুড়ার কথা চিন্তা করলে প্রথমেই আপনার মাথায় নিশ্চয়ই আসবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা। যেমন, লাল মাটি, দুর্গম ভূখণ্ড, বাঁকুড়ার ঘোড়া ইত্যাদি। প্রাচীন মল্লভুমের রাজ্যের একটি অস্পষ্ট কোলাজ অজান্তেই আপনার কল্পনাতে ভেসে উঠবে। পর্যটকদের কাছে এই জায়গাটি সবসময় খুব পছন্দের। পাহাড় ও জলের সংমিশ্রণে এই জায়গাটির সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
বাঁকুড়াতে শুধু শুশুনিয়া পাহাড় (Susunia Hill) আছে তা নয়, পাশাপাশি রয়েছে মুকুটমণিপুর। কিন্তু বেশিরভাগ ভ্রমণপ্রেমী এমনও রয়েছেন যারা বারবার শুশুনিয়া পাহাড়ের টানে এই জায়গাতেই ফিরে যেতে চান। এছাড়া আছে পাহাড়ের পাদদেশে রহস্যময় ঝর্ণা। এই জলকে পবিত্র বলে মনে করে স্থানীয়রা। পাহাড়ের গায়ে অন্য প্রান্তে রয়েছে এক প্রাচীন শিলালিপি। রাজা চন্দ্রবর্মনের শিলালিপি সংরক্ষিত রয়েছে পাহাড়ের দুর্গম স্থানে।