Murshidabad in Winter: বাঙালি হলো ভ্রমণপ্রিয় জাতি, সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন কাছেপিঠের কোন জায়গায়। শীতের মরসুম শুরু হলে পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হল মুর্শিদাবাদ। ইতিহাসের পাতা উল্টালে মনে পড়ে যাবে পুরনো অনেক স্মৃতি। এই জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা। শীতকাল আসলেই পর্যটকদের আসার অপেক্ষায় সময় গুনছেন টাঙ্গা চালকরা।
পর্যটকদের কাছে মুর্শিদাবাদ শহরের অন্যতম আকর্ষণ হল এখানকার টাঙ্গা গাড়ি। এমন ঘটনাও দেখা গেছে যে, পর্যটকরা টোটো ছেড়ে এই ঘোড়ার গাড়িতে চেপেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিহাসের স্বাদ নিতে উপস্থিত হয়েছেন। শীতের মরশুম আসার সঙ্গে সঙ্গেই এখানকার মানুষের (Murshidabad in Winter) যেন সুদিন ফিরে আসে। মুর্শিদাবাদের সবথেকে ভালো মরশুম হলো ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: দিঘা, মন্দারমণি এখন অতীত, নিরিবিলিতে সময় কাঁটানোর সেরা ঠিকানা এই সমুদ্র সৈকত
কোনো একসময় ‘ঠিকা গাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল এই ঘোড়ার গাড়ি। প্রাচীন আমলে যদিও এই ঘোড়ার গাড়ি নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল সাধারণ মানুষের কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়াতে ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে এর যাত্রী সংখ্যাও কমে গেছে। লালবাগ শহরে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই ঘোড়ার গাড়ি। এমন বহু মানুষ আছেন যারা শুধুমাত্র ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার জন্য লালবাগ শহরে আসে।
আরো পড়ুন: দিঘা এখন একঘেয়ে, শান্ত-নিরিবিলিতে সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করুন কলকাতার এই ৫ জায়গায়
আগেকার সময় মুর্শিদাবাদে যখন যন্ত্রচালিত বাহন ছিল না, সেই সময় মানুষের অন্যতম ভরসা ছিল পশুচালিত গাড়ি। এই গাড়ির সাহায্যে তারা যাতায়াত করতো একস্থান থেকে অন্যস্থানে। সবথেকে বড় বিষয় হলো, প্রাচীন আমলে মুর্শিদাবাদ জেলার জমিদার ও নবাবের বাহন ছিল এটি। বর্তমানে কিন্তু মুর্শিদাবাদ শহরে এই পুরনো স্বাদ আবার ফিরে এসেছে। মিলবে নবাবের পছন্দের সেই ঘোড়ার গাড়ি (Murshidabad in Winter)।
মুর্শিদাবাদ শহর সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হল একাধিক ঐতিহাসিক স্থানের জন্য। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান দর্শনে বিভিন্ন রকম টাকার অর্থধার্য্য করা হয়ে থাকে ঘোড়ার গাড়ির। একদিনের জন্য প্রতিজন পিছু সেই ভাড়া নির্দিষ্ট থাকে। যদি এই নবাবের শহরে ঘুরতে আসেন তাহলে অবশ্যই এই ঘোড়ার গাড়িতে চাপবেন। যারা মুর্শিদাবাদ শহরের টাঙ্গা চালক তারা দাবি করেছেন যে, যুগ যুগ ধরে তারা বহন করে চলেছে নবাবী ঐতিহ্য। এই শহরে আছে নানারকমের দর্শনীয় স্থান তাই টাঙ্গায় চেপে যদি সেগুলো দেখা যায় তার মজাই হবে অন্যরকম। এখানকার টাঙ্গা চালকরা এখন শুধু অপেক্ষায় আছেন পর্যটকদের আসার। এই শীতের মরশুমে পর্যটকদের আগমন ঘটলে তাদেরও সুদিন ফিরবে।