নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গাপুজোর পর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোয় মেতে ওঠে আপামর বাঙালি। ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। তবে একদিনের পুজোর এই রীতির ব্যতিক্রম রয়েছে মহঃবাজার থানার ভুতুরা পঞ্চায়েতের খয়রাকুড়ি গ্রামের সাহা পরিবারে। এখানে মা লক্ষ্মীর সাথে পূজিত হন জয়া ও বিজয়া।
পাঁচ পুরুষ আগে এই পরিবারের লক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন কার্তিক চন্দ্র সাহা। চার শরিকের এই পুজো কোজাগরী লক্ষ্মী পুজার দিন থেকে শুরু হয়। চলে চারদিন ধরে। পূর্ণিমার দিন পুজো, হোমযঞ্জ হয়। গভীর রাত পর্যন্ত পুজো চলে। মা লক্ষীকে সেদিন লুচি পায়েসের ভোগ নিবেদন করা হয়। পরদিন সকালে চিঁড়ের ভোগ, সন্ধ্যায় কমলা ভোগ নিবেদন করা হয়। এবছর রবিবার পুজোর পর সোমবার মানা হবে সেই রীতি। মঙ্গলবার দুপুরে খিচুড়ি, পায়েসের ভোগ লক্ষীকে নিবেদন করার পর গ্রামবাসীদের ভোগ খাওয়ানোর আয়োজন রয়েছে। সন্ধ্যায় ফলমুলের ভোগ দেওয়া হবে। চারদিন পুজো শেষে বুধবার প্রতিমা গ্রাম ঘুরিয়ে প্রতিবারের মতো আনা হবে গ্রামের মাঝখানে মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ঘন্টা তিনেক থাকার পর হীড়পুকুরে বির্সজন দেওয়া হবে।
এই পরিবারের পলিরাণী সাহা বলেন, “বৈকুন্ঠে নারায়ণের দারোয়ান জয়া ও বিজয়া। তাই এখানে জয়া ও বিজয়ার মূর্তি রাখা হয়।”
পরিবারের অন্য সদস্য প্রদীপ সাহা বলেন, “আগে এই গ্রামে দুর্গা পূজা হত না। তাই আনন্দ করার জন্য চারদিন ধরে এই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করতেন আমাদের পূর্ব পুরুষরা। সেই রীতি তখন থেকেই চলে আসছে।”