দুবছর আগে চালু হওয়া সিউড়ি শহরের ট্রাফিক লাইট সিগন্যাল আজও তিমিরে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৭ সালের ১৯ শে মে সিউড়িতে ঘটা করে চালু হয় ট্রাফিক লাইট সিগন্যাল। সিউড়ি শহরের ছয়টি জায়গায় এই ট্রাফিক লাইট সিগন্যাল বসানো হয়। সিউড়ি বাসষ্টান্ডের সামনে সেদিন তৎকালীন বীরভূমের জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী, তৎকালীন পুলিশ সুপার সুধীরকুমার নীলকান্তম, তৎকালীন অতিরিক্ত জেলাশাসক উমাশংকর এস, সিউড়ি পৌরসভার পৌরপিতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের হাত ধরে চালু হয় এই লাইটিং ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা। তবে তা কয়েক মাসের মধ্যেই অচল হয়ে পরে, যা আজও তিমিরে। উল্লেখ্য, সেদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে আরও কয়েক জায়গায় এই সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হবে বলেও জানিয়েছিলেন তৎকালীন জেলাশাসক।

Advertisements

Advertisements

কিন্তু সে আর কই হল! বরং যেগুলি ছিল তার বেশিরভাগই (সবকটি বলাই ভালো) খারাপ বা কাজ হয়না। কোনো কোনোটি আবার সারা দিন-রাত দীপ দীপ করে হলুদ লাইট দেখায়, আবার কোনোটা কিছুই দেখায় না। আর এ নিয়ে শহরের আনাচে-কানাচে সরকারি কোটি কোটি টাকা নষ্টের অভিযোগ তুলছে শহরবাসীরা। তাদের অনেকেরই বক্তব্য, যদি পরিষেবায় না পাওয়া যায় তাহলে এত এত টাকা নষ্ট কেন?

Advertisements

শহরের বাসিন্দাদের দাবি, বীরভূম জেলা প্রশাসন খুব সুন্দর একটা উদ্যোগ নিয়ে সিউড়িতে ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের ব্যবস্থা করে। কিন্তু দেখা যায় সেই ব্যবস্থা শুরু হওয়ায় তিন-চার মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ সিগন্যালে শুধু হলুদ আলো জ্বলতে থাকে। লাইট সিগন্যালিং ব্যবস্থা শুরু হবার পর শহর অনেকটাই যানজটমুক্ত হয়েছিল, শহরবাসীদের কাজের ক্ষেত্রে আসছিল দ্রুততা। কিন্তু আবার সেই লাইট সিগন্যালগুলি কাজ না করায় শহর পুনরায় ফিরে যায় পূর্বের অবস্থায়। শহরবাসীদের দাবি, লাইটগুলির দিকে নজর রেখে খুব দ্রুত সচল করা হোক লাইটিং সিগন্যাল ব্যবস্থাকে।

শহরজুড়ে অচল ট্রাফিক লাইট সিগন্যাল প্রসঙ্গে অবশ্য সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, সব লাইটগুলি খারাপ আছে এমনটা নয়, তবে অনেক জায়গায় খারাপ। আমরা এবিষয়ে খুব দ্রুত জেলা জেলা আরক্ষাধক্ষের সাথে কথা বলবো যাতে পুনরায় সমস্ত ট্রাফিক লাইটগুলিকে সচল করা যায়।

Advertisements