নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের প্রতিনিয়ত বাড়ছে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা, বিশেষ করে স্মার্টফোন। করোনাকালে এই সংখ্যাটা দ্বিগুণ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াক ফ্রম হোম হোক অথবা অনলাইন ক্লাস, এসবের দৌলতেই স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের ব্যবহার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে এরই মাঝে দেশের প্রতিটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থা নিজেদের ট্যারিফের দাম বৃদ্ধি করে। প্রথমবার দাম বৃদ্ধি ২০১৯ সালে এবং দ্বিতীয়বার হয় ২০২১ সালে। পরপর এই দাম বৃদ্ধির কারণে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় গ্রাহকরা। দাম বৃদ্ধি ছাড়াও আবার ভ্যালিডিটি নিয়ে কাটছাঁটের অভিযোগ তো টেলিকম সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রয়েছেই। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার নড়েচড়ে বসলো ট্রাই।
গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার টেলিকম রেগুলারিটি অফ ইন্ডিয়া দেশের প্রতিটি টেলিকম সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে, ২৮ দিনের ভ্যালিডিটিতে চলবে না। এবার থেকে প্রতিটি টেলিকম সংস্থাকে ৩০ দিনের ভ্যালিডিটি দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে প্ল্যান তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩০ দিনের ভ্যালিডিটি পরিবর্তে ২৮ দিন ভ্যালিডিটি দেওয়া হলে টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে ১৩ মাসে বছর হয়। স্বাভাবিকভাবেই খুবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এই সকল প্ল্যান চালু করেছে টেলিকম সংস্থাগুলি। যাতে করে বাড়তি মুনাফা লাভ করা যেতে পারে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রাহকরা বারংবার অভিযোগ দেওয়ার পর এবার ট্রাই নড়েচড়ে বসে এবং নতুন নির্দেশ দেয়।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাই-এর তরফ থেকে নির্দেশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেকটি টেলিকম সংস্থাকেই অন্তত একটি প্ল্যান ভাউচার, একটি স্পেশাল ট্যারিফ ভাউচার ও একটি কম্বো ভাউচার আনতে হবে, যার মেয়াদ ৩০ দিন হবে।” পাশাপাশি জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকা জারি করার ৬০ দিনের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে।
তবে টেক বিশেষজ্ঞরা মতে এতে গ্রাহকদের কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না। কারণ হিসেবে তারা যে যুক্তি পেশ করেছেন তাহলো, এখন যে সকল রিচার্জ প্ল্যান রয়েছে অর্থাৎ ২৮ দিনের যে সকল রিচার্জ প্ল্যান রয়েছে, সেগুলির কোনোটি ৩০ দিন করা হলে টেলিকম সংস্থাগুলি নিশ্চয় তার দাম বৃদ্ধি করবে। পুরাতন দামে তো আর তারা ৩০ দিন ভ্যালিডিটি দেবেনা! সুতরাং গ্রাহকদের পকেট থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই টাকা খসবে।