নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরে একই সংস্থাই না থেকে যাতে নিজের পছন্দমত সংস্থাই গ্রাহকরা যেতে পারেন তার জন্য নিয়ে আসা হয় MNP বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি। এই ব্যবস্থাই কোনো গ্রাহকের তার সংস্থা পছন্দ না হলেই তিনি অন্য সংস্থান চলে যেতে পারেন।
প্রতিযোগিতার বাজারে এই এমএনপি পরিষেবার ফলে বহু গ্রাহক যেখানে সুবিধা পাচ্ছেন সেখানে পা রাখছেন। তবে এই পরিষেবার সুবিধা নিতে হলে গ্রাহকদের কয়েকটি পথ অনুসরণ করতে হয়। নিয়ম অনুসারে একজন গ্রাহককের সিমকার্ড একটি টেলিকম সংস্থায় অন্ততপক্ষে ৯০ দিন থাকতে হবে তারপর তিনি অন্য কোন নেটওয়ার্কে যেতে পারবেন।
এছাড়াও এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় যথোপযুক্ত নথি এবং MNP কোড। এই কোড নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের এসএমএস করতে হয় ১৯০০ নম্বরে। এখন টেলিকম সংস্থাগুলি নিজেদের গ্রাহকদের ধরে রাখতে দারুণ কৌশল বের করেছে। সেই কৌশল অনুসারে তারা নিজেরাই নিয়ম করেছে গ্রাহকরা তখনই এই নম্বরে এসএমএস করতে পারবেন যখন তাদের ১০০ টাকার উপরে কোন রিচার্জ প্ল্যান থাকবে। এমনকি পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকলেও এসএমএস হয় না।
টেলিকম সংস্থাগুলির নিয়ে তৈরি নিজস্ব এই নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই অসুবিধার সম্মুখিন গ্রাহকরা। কারণ কোন গ্রাহক ১০০ টাকার উপরে রিচার্জ করার পর সাধারণত সেই রিচার্জ নষ্ট করে এমএনপি করতে চান না। ফলে গ্রাহক ধরে রাখার কাজটা খুব সহজেই চালাচ্ছিল টেলিকম সংস্থাগুলি।
কিন্তু এবার টেলিকম সংস্থাগুলির এই চতুরতা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল ট্রাই। সেই বিজ্ঞপ্তিতে মাথায় বাজ পড়েছে Jio, Airtel, Vi সহ প্রতিটি টেলিকম সংস্থার। ট্রাই-এর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পোর্টিং কোডের জন্য এসএমএস করতে না দেওয়া আসলে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি নিয়মের লংঘন করা।
এর পাশাপাশি ট্রাই জানিয়েছে, অবিলম্বে টেলিকম সংস্থাগুলিকে তাদের প্ল্যান পরিবর্তন করে যেকোনো রিচার্জের সঙ্গেই পোর্টিং কোড বের করার জন্য এসএমএস পরিষেবা দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, অন্যান্য টেলিকম সংস্থার তুলনায় আবার Vi নিয়ম করেছিল, তাদের গ্রাহকদের নম্বরে ১৭৯ টাকা রিচার্জ না থাকলে তারা পোর্টিং কোডের জন্য এসএমএস করতে পারবেন না। এবার ট্রাইয়ের নির্দেশে এই সকল সমস্ত চতুরতা বন্ধ হতে চলেছে।