ট্রেনের টিকিট বাতিলের নিয়মে বদল, খরচ হবে আরও বেশি

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে প্রতিদিন ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। বিপুল সংখ্যক এই মানুষের নির্ভরতার কারণে রেল পরিষেবাকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়। এবার এই গণপরিবহনের মেরুদন্ডে টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে নিয়মে বদল আনা হলো।

Advertisements

লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করার কারণে টিকিট নিয়ে সমস্যা থাকায় অনেক আগে থেকেই যাত্রীরা টিকিট বুক করে রাখেন। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোন কারণবশত সেই যাত্রা করা না হলে তাদের টিকিট বাতিল করতে হয়। টিকিট বাতিল করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে আইআরসিটিসির তরফ থেকে নির্ধারিত খরচ নেওয়া হয়। তবে এই খরচ এবার আরও বেড়ে গেল, রেলের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।

Advertisements

ট্রেনের টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো জিএসটি লাগু হওয়া। ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এবং অনলাইনে টিকিট প্রদানকারী সংস্থা আইআরসিটিসির তরফ থেকে ট্রেনের টিকিট বাতিলে যে চার্জ কাটা হয় তার ওপর জিএসটি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

Advertisements

নতুন যে সার্কুলার জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, যাত্রীরা টিকিট বুকিং করার সময় যে হারে কর দিয়ে থাকেন সেই হারে টিকিট বাতিল করার সময় কর দিতে হবে। টিকিট বুকিং করার সময় যাত্রীদের ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। এই নতুন সার্কুলার অনুযায়ী এবার টিকিট বাতিল করার ক্ষেত্রেও ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। একইভাবে হোটেল বুকিং বাতিল করলেও জিএসটি দিতে হবে পর্যটকদের।

ট্রেনের টিকিট বাতিলের উপর কেন জিএসটি লাগবে এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সার্কুলারে জানানো হয়েছে, “ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণ একটি চুক্তি, যা ভারতীয় রেল ও গ্রাহকের মধ্যে হয়। টিকিট বাতিল করে গ্রাহকরা কার্যত সেই চুক্তি ভাঙেন। এর জন্যই রেল সামান্য অর্থ নেয়। অর্থ মন্ত্রকের যুক্তি, যেহেতু রেলের নেওয়া এই বাতিল মূল্য চুক্তিভঙ্গের কারণে হওয়া একটি লেনদেন, ফলে এ ক্ষেত্রেও সরকারকে কর দিতে হবে।”

Advertisements