নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের ঘুরতে যাওয়া মানেই তিনটি জায়গা ছাড়া মাথায় আর কিছু আসে না। সেই তিনটি জায়গার মধ্যে রয়েছে দীঘা, পুরী আর দার্জিলিং। তবে এই সকল জায়গা যেমন পর্যটকরা অনেকবার ঘুরে এসেছেন, ঠিক সেই রকমই আবার এই সকল জায়গায় লোকে লোকারণ্য। শান্তিতে সময় কাটানোর উপায় থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ধীরে ধীরে এই সকল জায়গাকে পরিত্যাগ করছেন।
কলকাতা থেকে দীঘা যাওয়ার যে দূরত্ব তার থেকে কিছুটা দূরত্বে এবার আমরা একটি অন্যরকম সমুদ্র সৈকতের খোঁজ দিতে চলেছি এই প্রতিবেদনে। কেননা এই সমুদ্র সৈকতে তেমন লোকের ভিড় হয় না আর বিশাল বিশাল হোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদি মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি। এখানে ঝাউবন আর ঝাউবনের ধারে সমুদ্র সৈকতে নিশ্চিন্তে দীর্ঘ সময় কাটানো যেতে পারে। এই সমুদ্র সৈকতটির নাম দুবলাগাড়ি সমুদ্র সৈকত (Dublagadi Sea Beach)।
এমন সমুদ্র সৈকতের নাম অধিকাংশ মানুষই শোনেননি। কারণ এই সমুদ্র সৈকতের জনপ্রিয়তা দীঘা পুরীর মতো নয়। যে কারণে এখানে খুব বেশি মানুষের ভিড়ও জমে না। তবে আপনি চাইলে এখানে সঙ্গীকে নিয়ে একেবারেই নিশ্চিন্তে কাটাতে পারেন। নিশ্চিন্তে কাটানোর জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এই সমুদ্র সৈকত পশ্চিমবঙ্গে নয় বরং পশ্চিম রাজ্য ওড়িশায় অবস্থিত। আবার উড়িষ্যায় অবস্থিত বলে কলকাতা থেকে যে খুব একটা দূরে তা-ও নয়।
আরও পড়ুন ? দিঘা পুরি অনেক হলো, এবার নিশ্চিন্তে ঘুরে আসুন গোয়া, প্রশাসনের দারুণ ব্যবস্থা
উড়িষ্যার এই সমুদ্র সৈকতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে একটি সমস্যা রয়েছে। এখানে যাওয়ার জন্য সরাসরি ট্রেন পরিষেবা নেই। যে কারণে পর্যটকদের গাড়ি নিয়ে যেতে হয়। তবে ট্রেনে যারা আসতে চান তাদের বালেশ্বর আসতে হয়। কলকাতা থেকে মোটামুটি ২৪৬ কিলোমিটার রাস্তা, যেতে সময় লাগে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। তবে একবার এই সমুদ্র সৈকতে গেলে ফিরে আসার ইচ্ছে করবে না। শহরের প্রতিদিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে এখানে আপনি এক জায়গায় স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ পাবেন।
সমুদ্র সৈকত আর ঝাউবনের মাঝে মাঝে এখানে রয়েছে থাকার জন্য ক্যাম্প। এখানে আগে কোন হোটেল অথবা রিসোর্ট না থাকলেও এখন তৈরি হয়েছে বেশ কিছু হোটেল ও রিসোর্ট। এখানে বোটিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের রসদ রয়েছে। খাওয়া-দাওয়া বেশ উন্নত। তবে খাওয়া দাওয়া, থাকা, রাইডিং সব দিয়ে মাথাপিছু ১৮০০ টাকা মতো করে খরচ হবে।