Travel Vlogger Suptotthita Sarkar bagged fifth rank in higher secondary exam: ভ্লগিং আজকাল একটা অন্যতম পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাভেল ভ্লগার, ফুড ভ্লগার, ডেইলি ভ্লগারদের রমরমা চারিদিকে। এই ভ্লগারদের মধ্যে অন্যতম সুপ্তোত্থিতা (Travel Vlogger Suptotthita)। সুপ্তোত্থিতা শুধুমাত্র যে ভ্লগিং নিয়েই ব্যস্ত, তা কিন্তু নয়। রয়েছে আরও নানারকম অ্যাক্টিভিটি। গান, আবৃত্তি, কুইজ, ডিবেট এই ধরনের একাধিক এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিতেও বেশ আগ্রহ রয়েছে তার। পাশাপাশি পড়াশুনার প্রতিও তার মনোযোগের কোন অভাব নেই। ২০২৪ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ছিল সে। রেজাল্ট বেরোনোর পর মেধালিকায় তার নাম এসেছে পঞ্চম স্থানে। ভবিষ্যতে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন দেখে সুপ্তোত্থিতা।
মালদার হাবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী গিরিজা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী সুপ্তোত্থিতা সরকার (Travel Vlogger Suptotthita)। তার মা পম্পা সরকার ও বাবা প্রান্তিক সরকার উভয়ই পেশায় শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষাকতার পাশাপাশি প্রান্তিক বাবুর নেশা ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি করা। সুযোগ পেলেই ক্যামেরা হাতে চলে যান বনে জঙ্গলে। ছোট থেকে বাবা মায়ের সাথে এদিক ওদিক ঘুরতে যেতে যেতে, ঘুরতে যাওয়াটা রক্তে মিশে গেছে সুপ্তোত্থিতার। বর্তমানে ট্রাভেল ভ্লগিং একপ্রকার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে সুপ্তোত্থিতার কাছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে করোনার সময় উত্তরবঙ্গের এক পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে গিয়ে, নেহাত হিড়িকের বসেই ভিডিও করে ভ্লগ বানিয়ে আপলোড করে সে। সেখান থেকেই শুরু। বর্তমানে “বার্বিস জার্নি এনজয়” নামে ট্রাভেল ভ্লগ বানিয়ে থাকে সুপ্তোত্থিতা (Travel Vlogger Suptotthita)। ভিডিওগুলি জনসাধারণের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। বেশ ভালো ভিউ থাকে প্রতিটা ভিডিওতে। উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়ে তৈরি করেছে একাধিক ভিডিও। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কয়েক মাস তেমনভাবে ভিডিও বানাতে পারেনি সে। সেই সময় ভিউজ একটু কমে গিয়ে থাকলেও, পরীক্ষা শেষ হতে আবার শুরু করেছে ক্যামেরা হাতে অচেনার সন্ধান করা।
কিন্তু ট্রাভেল ভ্লগিং এর পাশাপাশি পড়াশোনাকে সামঞ্জস্য করে এগিয়ে চলাটা খুবই কঠিন। কিভাবে সামলায় সে? এই প্রশ্নের উত্তরে খুব সাবলীলভাবেই সুপ্তোত্থিতা (Travel Vlogger Suptotthita) জানায়, ঘুরতে যাওয়া তার কাছে অক্সিজেনের মতন। ঘুরতে গিয়ে নতুন মানুষের সাথে আলাপ হওয়ার পর যে অক্সিজেন সে সংগ্রহ করে আনেন, তারপর বাড়ি ফিরে পড়াশোনা করতে কোন সমস্যা হয় না বরং উৎসাহটা আরো বেড়ে যায়। উচ্চ মাধ্যমিকের সময় পড়াশোনার পুরো পদ্ধতিটাকে ৩ টি ভাগে ভাগ করে নিয়েছিল সে। বিগিনার্স, ইন্টারমিডিয়েট ও অ্যাডভান্স। সেই মতো প্ল্যান করেই এগিয়েছে তার পড়াশোনা।
সে আরো বলে, পড়াশোনাটা তার উপরে কখনো চাপিয়ে দেয়নি তার পরিবার। বরঞ্চ ছোট থেকেই ভালবাসতে শিখিয়েছে পড়াশোনাকেও। তাই পড়াশোনা নিয়ে আলাদা চাপ কখনো অনুভব করেনি সে। তার মা জানান, তারা তাকে নিজের মতন করে বড় হতে দিয়েছেন। শুধু পাশে থেকে যত্ন নিয়ে যাচ্ছেন তারা। মেধা তালিকায় তার নাম না থাকলেও তাদের তেমন কিছু যায় আসতো না। মাধ্যমিক অব্দি একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী ছিলো সুপ্তোত্থিতা (Travel Vlogger Suptotthita)। পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সে ভর্তি হয় তার বাবার স্কুলেই। এর কারণ জানতে চাওয়ায়, সে বলে তার বাবার স্কুলের ছাত্রীরা মক্ পার্লামেন্টে যোগদান করে বাইরে থেকে পুরস্কার নিয়ে আসে। তারও শখ ছিল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার।