অমরনাথ দত্ত : বিশ্বভারতীর পাঁচিল কাণ্ড নিয়ে ফের একবার সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এবার বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙ্গার সাথে যুক্ত হল বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ। শনিবার বোলপুরে দলীয় কাজে এসে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙ্গা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার স্টাইলেই ভাঙ্গা হয়েছে বিশ্বভারতীর পাঁচিল।’
এদের লকেট চট্টোপাধ্যায় কৃষি বিল সংক্রান্ত আলোচনার জন্য বোলপুরে এলে প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে বিশ্বভারতী এবং বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙার প্রসঙ্গ। সেই প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি কাজের সূত্রে ছোটবেলা থেকেই বোলপুরে আসি। আর বোলপুরে এসে ছোট থেকেই দেখেছি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাঠশালা। এখানে দেশ-বিদেশ থেকে পড়ুয়ারা পড়তে আসেন। এই বিশ্বভারতী আমার কাছে একটা আবেগ।”
আর এরপরই তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “আমরা ছবিতে যেভাবে তৃণমূলকে বুলডোজার দিয়ে এই পাঁচিল ভাঙতে দেখেছি তা যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গায়ে আঁচড় দিচ্ছে। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আর এর পাশাপাশি এখান থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে যায়, বিদ্যাসাগরের মূর্তিও তারাই ভেঙেছিল এবং সেই স্টাইলে, সেই কায়দায় বিশ্বভারতীর পাঁচিল উপড়ে ফেলেছে।”
এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, “আমার মনে হয় আদালত তো আবার রায় দিয়েছে সেই পাঁচিল, সেই গেট তৈরি করে দেওয়ার জন্য। আর বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গে আদালতের এই রায়কে সম্মান দিই কারণ তারাও বিশ্বভারতীর সম্মান অটুট রাখার জন্য এগিয়ে এসেছে।”
এর পাশাপাশি পৌষ মেলার মাঠে অপকর্ম চলে বলে যে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণ লংঘন করে দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বভারতীকে নিয়ে এমন কথা কে বলেছেন আমি জানিনা, তবে বিশ্বভারতীকে নিয়ে এমন কথা কেউ বললে আমার মন খারাপ করে। আমি এই ধরনের কথা বিশ্বাসও করিনা। তবে বিশ্বভারতীতে তৃণমূলের গুন্ডাগিরি আর চলবে না।”
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর পৌষ মেলার মাঠে অপকর্ম চলা নিয়ে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল যে অভিযোগ তুলেছিলেন সেই অভিযোগকে খন্ডন করেছিলেন বিজেপির আরেক নেতা অনুপম হাজরা। আর এবার সেই একই পথে অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যকে খন্ডন করতে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।