লাল্টু : রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল প্রথম দফাতেই ২৯১টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে। প্রার্থী ঘোষণার পরেই একাধিক এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভ নজরে আসে। আর এই সকল পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবশেষে ভোটের আগে তৃণমূলের তরফ থেকে চার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। শুক্রবার বদল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলো তৃণমূল।
তৃণমূলের তরফ থেকে যে চার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করা হলো সেই সকল কেন্দ্রগুলি হলো আমডাঙা, অশোকনগর, দুবরাজপুর ও কল্যাণী। দুবরাজপুরের তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখা না গেলেও দলের অন্দরে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর এলাকার তৃণমূল কর্মীরা জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের দ্বারস্থ হন প্রার্থী বদলের দাবিতে।
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের তরফ থেকে এই অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি দ্রুত মীমাংসার জন্য সচেষ্ট হন। তার পরেই তিনি আগের তৃণমূল প্রার্থী অসীমা ধীবরকে আপাতত প্রচার করতে নিষেধ করেন। জেলা সভাপতি তরফ থেকে প্রচার করতে নিষেধ করার পর অসীমা ধীবর নিজের এলাকায় প্রচার বন্ধ রাখেন। নির্দেশ পেয়ে তিনি প্রচার বন্ধ রাখেন এবং জানান দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মাথা পেতে গ্রহণ করবেন। তবে তিনি যে অসম্মানিত সেই বিষয়টি তুলে ধরেন।
যেসকল কেন্দ্রের প্রার্থী বদল হলো
আমডাঙায় তৃণমূলের নতুন প্রার্থী করা হলো রফিকুর রহমানকে। তিনি এলাকার বর্তমান বিধায়ক।
অশোকনগরের নতুন প্রার্থী হলেন নারায়ণ গোস্বামী। তিনি জেলার অভিজ্ঞ, দক্ষ নেতা বলে পরিচিত। তিনি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
দুবরাজপুরের নতুন প্রার্থী হলেন দেবব্রত সাহা।
[aaroporuntag]
কল্যাণীর নতুন প্রার্থী হলেন অনিরুদ্ধ বিশ্বাস।