Gangasagar Mela: প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও অনুষ্ঠিত হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। মূলত মকর সংক্রান্তি উপলক্ষেই শুরু হয় এই মেলা। যেখানে সমাগম ঘটে পুণ্যার্থীদের। এবার সেই মেলা নিয়েই জাতীয় মেলা ঘোষণার দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে সংসদের উল্লেখ পর্বে দাবি জানান জুন মালিয়া। কেন জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানালো সবুজ দল?
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই মকর সংক্রান্তির সময়ে অনুষ্ঠিত হয় কুম্ভ মেলা ও গঙ্গাসাগর মেলা। ভারতের চারটি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয় কুম্ভ মেলা। চলতি বছরে প্রয়াগরাজে হয়েছে কুম্ভ মেলা। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গাসাগর মেলা। যেখানে প্রত্যেক বছরই পুণ্য অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট মেলায় সমাবেশ ঘটে পুণ্যার্থীদের। চলতি বছরে কুম্ভ মেলা মহাকুম্ভে পরিণত হওয়ায় তীর্থযাত্রীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে গঙ্গাসাগর মেলাতেও কম ভীর লক্ষ্য করা যায়নি। তাই আবারো গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে সরব হল তৃণমূল সাংসদ। এদিন স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে কি বললেন ঘাসফুল শিবির?
রাজ্যের মাননীয়া ও অন্যান্য সম্মানীয় ব্যক্তি বর্গের সমন্বয়ে চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। আর এই মেলা উদ্বোধনের সাথে সাথেই এই মেলাতে জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান রাজ্যের মাননীয়া। তাঁর কথায়, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্র সরকার। এই মেলা উপলক্ষে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি কেন্দ্র তরফে। তবে গঙ্গাসাগর মেলা জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। কারণ কুম্ভ মেলার কোনো অংশেই কম যায় না এই মেলা।
আরও পড়ুন: আজই শেষ দিন, প্রয়াগরাজের পর কুম্ভমেলা এবার ত্রিবেণীতে
শুধু তাই না, এদিন তিনি এও বলেন যে, কুম্ভ মেলার তুলনায় গঙ্গাসাগর মেলায় (Gangasagar Mela) পৌঁছানো অনেক কঠিন। জলের উপর দিয়ে আসতে হয় এই মেলায়। যেখানে কুম্ভ মেলায় খুব সহজে সড়কপথে পৌঁছানো যায়। পূর্বের তুলনায় এই মেলাকে আরও উন্নত করা হয়েছে বলেও জানান মমতা ব্যানার্জি। এবার বৃহস্পতিবার দিন সেই বিষয়টি লিখিত পর্বে সাংসদের উল্লেখ পর্বে তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। লিখিত পর্বে এই মেলায় জনসমাগমের বিষয়টির পাশাপাশি মেলার ঐতিহাসিক, পৌরাণিক তাৎপর্য জানান।
উল্লেখ্য বিষয়, গঙ্গাসাগর মেলায় আসার পথ সহজ করতে নয়া উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। পরিকল্পনা করা হয়েছে মুড়ি গঙ্গার উপর সেতু তৈরি নির্মাণের। আর সেই ব্রিজ নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার ১৫০০ কোটি টাকার একটি বিস্তারিত প্রকল্প তৈরি করেছে। আর সেই সূত্রের মারফতে কেন্দ্রের কাছে আবারো গঙ্গাসাগর মেলাকে (Gangasagar Mela) জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।