‘১৪ বছর ধরে তৃণমূল করি, কিছু পেলাম না’, মন্ত্রীর সমানে আক্ষেপ কর্মীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’, এই প্রবাদ প্রবচনের বাস্তবায়ন অতীত, বর্তমান সব ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। ঠিক যেমন বর্তমানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় প্রাণ দিতে হয় নিচু তলার কর্মীদের। কিন্তু তারা কতটা আখের গোছাতে পারেন? পারেন না। সেটাই প্রমাণ করলো বুধবার।

বুধবার দিদির দূত হয়ে বীরভূমের গোহালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। প্রথমেই তাকে বক্রেশ্বর ধামে পৌঁছে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দিতে দেখা যায়। এরপর নিজের কর্মসূচি নিয়ে বের হতে দেখা যায় এলাকায় এলাকায়। এরই মধ্যে তিনি যখন গৌরগঞ্জ গ্রামে পৌঁছান তখনই তাকে ঘিরে আক্ষেপ করেন এলাকার এক তৃণমূল কর্মী।

গ্রামের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে তিনি মন্ত্রীর সামনে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগ জানানোর সময় তাকে আক্ষেপের সুরে বলতে দেখা যায়, তিনি ১৪ বছর ধরে তৃণমূল করছেন। কিন্তু তিনি কিছু পেলেন না আর যাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে তারা অনেক কিছুই পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা। আক্ষেপের সুরে এমন অভিযোগ তুলেছেন উৎপল কোঁরা।

তিনি জানান, বেহাল অবস্থায় একটি সাঁকো পড়ে রয়েছে গত দু’বছর ধরে। সেই সাঁকো পুনর্নির্মাণের জন্য ব্লক থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছিলাম কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। এছাড়াও অনেকেই রয়েছেন যাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে অথচ তারা আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। যাদের পাওয়া দরকার তারা পাচ্ছেন না। এছাড়াও এখানকার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় রেশন কার্ডের ক্ষেত্রেও সঠিকভাবে সুবিধা পাচ্ছেন না অনেকেই।

যদিও মন্ত্রী মলয় ঘটক এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানান, নর্দমার যে চাহিদা রয়েছে তার জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যারা বাড়ি পাননি বলে অভিযোগ করছেন তাদের নাম লেখা হয়েছে এবং এখন সার্ভে চলছে সেই সার্ভে সঠিকভাবে হওয়ার পর তারাও বাড়ি পাবেন।