নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের সমস্ত রাজ্যের রেল পরিষেবা থাকলেও এখনো পর্যন্ত সিকিমে রেল পরিষেবা চালু হয়নি। দেশের একমাত্র রাজ্য হিসেবে সিকিমই এখন রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। তবে এই বঞ্চনা আর বেশি দিন থাকবে না। কেননা ভারতীয় রেল (Indian Railways) সিকিমে রেল পরিষেবা (Sikkim Railway Project) চালুর জন্য একের পর এক ধাপ পার করছে।
সিকিমে রেল পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি ভারতীয় রেল নতুন এক সফলতা পেল। নতুন ওই সফলতা অনুযায়ী রেলের তরফ থেকে সিকিমের সেবক-রংপো রেলওয়ে প্রজেক্টের টি-৭ টানেল সফলভাবে খনন করা হয়েছে। এই খনন কার্য সফল হওয়ার ফলে প্রোজেক্টের ১০টি টানেল সফলভাবে খনন কার্য করা হলো।
সিকিমের সেবক-রংপো রেলওয়ে প্রজেক্টের হাত ধরেই ভারতীয় রেল প্রথম কোন আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন পেতে চলেছে। যে রেলস্টেশনটি হল তিস্তা বাজার। তিস্তা বাজার স্টেশন টি-৭ টানেলের মধ্যে রয়েছে। মূল টানেলটি ৩০৮২ মিটার প্রশস্ত। এখানে প্রবেশের জন্য প্রবেশযোগ্য একটি টানেল রয়েছে। ভারতীয় রেলের ক্ষেত্রে তিস্তা বাজার রেলস্টেশন এবং সিকিম রেলওয়ে প্রজেক্ট ভারতীয় রেলওয়ের আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম এক উদাহরণ।
আরও পড়ুন ? Up-Down Train: কোন ট্রেনকে আপ আর কোন ট্রেনকে ডাউন বলে! ট্রেনে চললেও অনেকেই এই ছোট্ট বিষয়টি জানেন না
সেবক-রংপো রেলওয়ে প্রজেক্টের সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত প্রথম দফায় রেল পরিষেবা চালু করা হবে। এই প্রোজেক্টের মধ্য দিয়েই রেলপথে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম একে অপরের সঙ্গে জুড়ে যাবে। এই রেল প্রজেক্টের মধ্যে মোট ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। যার মধ্যে পড়বে ১৪টি টানেল, ১৭টি ব্রিজ, ৫টি রেলস্টেশন। এই রেল প্রজেক্টের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ টানেল হল টি-১০, যেটি ৫.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। আবার সবচেয়ে দীর্ঘ ব্রিজ হল ব্রিজ নম্বর ১৭, যেটি ৪২৫ মিটার লম্বা।
সিকিম রেলওয়ে প্রজেক্টের অংশ হিসেবে সেবক-রংপো রেলওয়েতে তৎপরতার সঙ্গে চলছে কাজকর্ম। ইতিমধ্যেই টি-১৪, টি-০৯, টি-০২ টানেলে ফাইনাল লাইনিংয়ের কাজ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বাকিগুলির কাজ চলছে। এই রেলওয়ে প্রজেক্টের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার জন্য দিনরাত এক করে কাজ চালানো হচ্ছে। প্রথম দফায় সেবক-রংপো পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু হওয়ার পর ধাপে ধাপে তা পৌঁছে যাবে গ্যাংটক এবং তারপর গ্যাংটক থেকে পৌঁছে যাবে নাথুলা।