নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতেই যমজ ভাই বোনেদের ফলাফল রীতিমত অবাক করছে রাজ্যের বাসিন্দাদের। গত ২ মে যখন মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছিল তখন দেখা গিয়েছিল, বীরভূমের রামপুরহাটের যমজ ভাই মহঃ মোক্তার নাবিল এবং মহঃ মোক্তার জাহিন একই নম্বর পেয়েছিল। দুজনেরই নম্বর ছিল ৬৭৭।
তবে এবার এই দুজনকে ছাপিয়ে গেল হুগলির যমজ দুই বোন। কারণ তারা দুজনেই মেধা তালিকায় (Twin Sisters in HS Merit List) জায়গা করে নিয়েছে। দুজনের র্যাঙ্ক আলাদা আলাদা হলেও এইভাবে দুজনেরই মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়ার মতো ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না বললেই চলে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ওই দুই বোনের এবারের উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল।
যে দুই যমজ বোনের কথা বলা হচ্ছে তারা স্নেহা ঘোষ এবং সোহা ঘোষ। দুজনেই চন্দননগর কৃষ্ণভাবিনি নারী শিক্ষা মন্দির স্কুলের ছাত্রী। স্নেহা এবং সোহা দুজনের জন্মের সময়ের পার্থক্য মাত্র এক মিনিট। আর এই এক মিনিটের পার্থক্যের হিসেব অনুযায়ী সোহা এক মিনিটের বড় আর স্নেহা এক মিনিটের ছোটো। তারা চুঁচুড়ার গরবাটির ষষ্ঠী তলার বাসিন্দা। তাদের এমন সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া ঘোষ পরিবার থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
বুধবার ৬৯ দিনের মাথায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় চন্দননগরের ওই ঘোষ পরিবারের স্নেহা ঘোষ ৪৯৩ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। স্নেহা কেবল চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে তা নয়, পাশাপাশি সে এবার উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে। অন্যদিকে সোহা ৪৮৭ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছে। স্নেহা এবং সোহা দুজনেই ভবিষ্যতে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়।
স্নেহা এবং সোহার দুজনের বাবা সঞ্জীব ঘোষ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন এবং মা অপর্ণা ঘোষ একজন গৃহবধূ। ওই দুই ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের পাশাপাশি পরিবারের কেউই কখনো ভেবে উঠতে পারেননি যে একই পরিবারের দুজন একসঙ্গে মেধাতালিকায় জায়গা করে নেবে। সত্যিই এমন ঘটনা অবিশ্বাস্য, তবে সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাকেই বাস্তবায়িত করে নজির করল স্নেহা ও সোহা।