মৃত্যুর আড়াই বছর পর সুশান্ত কাণ্ডে নয়া মোড়, মুখ খুললেন মর্গের কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২০ সালের ১৪ জুন উঠতি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার ফ্ল্যাট থেকে। ঘটনার পর বারবার সুশান্ত সিং রাজপুতকে খুন করা হয়েছে এমন অভিযোগ তোলা হয়। এমনকি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার কাঠগড়ায় উঠেছেন তার ঘনিষ্ঠরা। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছিল তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই রয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।

এরই মধ্যে যখন ২০২২ সাল একেবারে শেষের দিকে সেই সময় সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড় নিতে শুরু করলো। নতুন এই মোড় নিতে শুরু করে মূলত কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মীর বিস্ফোরক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। মর্গের ওই কর্মীর নাম রূপকুমার শাহ। তিনি যা দাবী করেছেন তা রীতিমত চমকে দেওয়ার।

সংবাদমাধ্যমের সামনে রূপকুমার শাহ দাবি করেছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়। তাকে খুন করা হয়েছিল। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন, মৃত অভিনেতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে প্রশ্ন হল কেন তিনি আড়াই বছর ধরে এমন একটি সত্য লুকিয়ে রেখেছিলেন?

এর পরিপ্রেক্ষিতে মর্গের ওই কর্মী দাবি করেছেন, ঐদিন কুপার হাসপাতালের মর্গে পাঁচটি দেহ এসেছিল। যার মধ্যে ভিআইপি দেহ একটি অর্থাৎ সুশান্ত সিং রাজপুতের। তার শরীরে একাধিক জায়গায় এবং ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সুশান্ত সিং রাজপুতের ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করতে বারণ করা হয়। উপরমহল থেকে কেবলমাত্র ফটোগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

প্রথম থেকেই রূপকুমার শাহ এই মৃত্যুর ঘটনাকে খুন বলে দাবি করেছিলেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তা কোনভাবে মেনে নিতে চাননি এবং দ্রুত কাজ সমাপ্ত করে দেহ পুলিশের হাতে হস্তান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। আড়াই বছর পর হলেও মর্গের কর্মী রূপকুমার শাহর এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনায় নতুন মোড় নেয় কিনা তাই এখন দেখার।