নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার ঘড়ির কাটায় সকাল ৯টা বাজতেই প্রকাশিত হলো চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় ১০০% পড়ুয়া পাশ করেছেন, যা ঐতিহাসিক। গতবছর মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৮৬.৩৪%, যা এবার এক লাফে ১০০% পৌঁছে গেছে।
১০০% পাশ যেমন ঐতিহাসিক, ঠিক তেমনি সর্বোচ্চ নম্বর ৬৯৭, যাও পেয়েছেন ৭৯ জন। পাশাপাশি প্রথম বিভাগে পাস করেছেন ৯০% পড়ুয়া। যাও সর্বকালের রেকর্ড। আর এই সকল বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবারের মত ফলাফল আগে কেউ দেখেননি। আর এই ঐতিহাসিক ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর ৬৭৯ বীরভূমের দুই পড়ুয়ার ঝুলিতে এসেছে।
বীরভূমের যে ২ পড়ুয়া এই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন তারা হলেন সিউড়ির সোনাতোর পাড়ার বাসিন্দা অনস্মিতা ভট্টাচার্য এবং রামপুরহাটের ডাক্তারপাড়ার সুমিত মুখার্জি। অনস্মিতা ভট্টাচার্য্য সিউড়ি সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দিরের ছাত্রী এবং সুমিত মুখার্জি রামপুরহাট জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবনের ছাত্র। কাকতালীয় ভাবেই এই দুই পড়ুয়ায় ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
অনস্মিতা ভট্টাচার্য বাংলা, ইংরেজি এবং ভূগোলে ৯৯ নম্বর পেয়েছেন। বাকি বিষয়গুলিতে ১০০ তে ১০০। অন্যদিকে সুমিত মুখার্জি জানিয়েছেন, “এই রেজাল্ট হাওয়াই আমি বেশ খুশি। তবে পরীক্ষা দিয়ে যদি এমন রেজাল্ট হত তাহলে আরও ভালো লাগতো।” এর পাশাপাশি বীরভূমের আরও ৬০ জন পড়ুয়া এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা প্রকোপের কারণে চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়। পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয় নবম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল এবং দশম শ্রেণীর অন্তর্বর্তী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। এই দুই পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৫০-৫০ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।