Two frigates named INS Tushil and INS Tamal were added to the hands of the Indian Army: রামায়ণ সম্পর্কে আমাদের কম বেশি সকলেরই জ্ঞান রয়েছে। তাই রামায়ণের চরিত্রগুলো যেন ছবির মত চোখে ভাসে। লঙ্কার রাজা রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিৎ ছিলেন বীর যোদ্ধা। যুদ্ধে তাকে হারানোর একেবারে অসম্ভব ছিল। তিনি যুদ্ধ করতেন মেঘের আড়াল থেকে সেই কারণেই তাকে যুদ্ধে কখনো কেউ হারাতে পারেনি। এই কারণেই ইন্দ্রজিতের অপর নাম ছিল মেঘনাদ। সম্প্রতি ভারতীয় নৌসেনার হাতে আসলো এমন দুটি অস্ত্র (INS Tushil and INS Tamal) যা সামরিক দিক থেকে তাদেরকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলল।
এতদিন পর্যন্ত সামরিক দিক থেকে চীন ছিল অন্যতম শক্তিশালী একটি দেশ। কিন্তু চীনকে কড়া টক্কর দিতে এবার প্রস্তুত ভারত। ভারতীয় শত্রুপক্ষের জন্য অপেক্ষা করছে দুই চমকপ্রদ অস্ত্র। ভারতীয় নৌসেনার শক্তিকে কয়েকশো গুণ বাড়িয়ে দেবে আইএনএস তুষিল এবং আইএনএস তমাল। এই দুই স্টেলথ ফ্রিগেট বিশ্বে ভারতের স্থানকে সামরিক দিক থেকে আরও অনেক বেশি উচ্চতর করে তুলবে।
ভারতের অন্যতম মিত্রদেশ হলো রাশিয়া যার সহায়তায় এই দুই যুদ্ধজাহাজ (INS Tushil and INS Tamal) ভারতের কাছে আসতে চলেছে। এই জাহাজ দুটি তৈরি হয়েছে রাশিয়ার কালিনিনগ্রাডের জাহাজ কারখানায়। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, আইএনএস তুষিল তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। সম্প্রতি চলছে তার মহড়া। মহড়া শেষ হলেই এই যুদ্ধ জাহাজটিকে আনা হবে ভারতের সাগরে।
শক্তিশালী এই যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেলথ প্রযুক্তি। যেমন মেঘনাদ মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ করত তেমনি যুদ্ধ করতে পারবে এই জাহাজ দুটি। খুব সহজেই শত্রুপক্ষের ব়্যাডারকে ফাঁকি দিতে পারবে এটি। এই প্রযুক্তির জন্য সমুদ্র তুষিল ও তমালের (INS Tushil and INS Tamal) উপস্থিতি বিপক্ষ দেশের পক্ষে বোঝা সম্ভব হবে না। একেবারে আড়াল থেকেই আক্রমণ করতে সক্ষম এই যুদ্ধ জাহাজ দুটি।
এই যুদ্ধজাহাজ দুটি সরঞ্জামের দিক থেকে যথেষ্ট উন্নত। আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে তবেই তৈরি করা হয়েছে এই জাহাজ দুটিকে। এদের দ্বারা ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালানো, চীনের দাদাগিরিকে খর্ব করতে সাহায্য করবে। এই যুদ্ধ জাহাজদুটি অবশেষে ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে যার ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওনে চাপ বাড়বে চীনের।