নিজস্ব প্রতিবেদন : আদিবাসী এক যুবকের জিভ কেটে নেওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো বীরভূমে। গতকাল রাতে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত ফুলডাঙ্গার আদিবাসী পাড়ায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ২০ বছর বয়সী আদিবাসী যুবক সমাই সরেন নামে এক যুবকের জিভ কেটে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তিনি হলেন বছর পঞ্চাশের পাকু টুডু।
গতকাল রাতে সমাই সরেন নামে ওই যুবক তার বন্ধু মুকুলের সঙ্গে পাকুর টুডুর বাড়িতে মদ খেতে যান। সেই সময়ই এমন ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুকুল মূর্মু জানিয়েছেন, “গতকাল রাতে আমাদের মদ খাওয়ার জন্য তার বাড়িতে ডাকেন পাকু টুডু। সেই মত আমি আর সমাই দুজন মিলে মদ খেতে যায়। অনেকক্ষণ ধরে মদ খাওয়ার পর আমি বাথরুম করতে বাইরে আসি। ফিরে গিয়ে দেখি পাকু টুডু এবং তার মেয়ে দুজনে সমাইয়ের গায়ের উপর চেপে জিভ কাটছেন। তারপর আমি ওদের সরিয়ে ওকে নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসি।”
তবে কি কারণে হঠাৎ এমন ভাবে ওই যুবকের জিভ কেটে নেওয়ার জন্য ওই দুই মহিলা চড়াও হন তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি মুকুল মুর্মু। অন্যদিকে এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “ওই মহিলা তন্ত্র সাধনা, পুজো এসব করে থাকেন। এই সকল কারণেই গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটান ওই মহিলা।”
তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পাকু টুডু সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন, “মদ খাওয়ার পর গালিগালাজ শুরু করে ওই যুবক। গালিগালাজ শুরু করার পর আমরা তাকে বেরিয়ে যেতে বলি। তখন ওই যুবক নিজেই এই ঘটনা ঘটায়। আমরা কিছুই করিনি।”
ঘটনার পর ওই যুবককে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। যদিও ওই যুবকের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ অথবা কলকাতার পিজিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রান্সফার করা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার পর শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ আদিবাসী ওই দুই অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে নিয়ে থানায় যায়। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটলো তা এখনো স্পষ্ট নয়।