নিজস্ব প্রতিবেদন : সন্ধ্যাবেলায় গ্রামের দোকানে জিনিস কিনতে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে দুই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী মাঠে। সেখানেই দুজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই দুই নাবালিকা আদিবাসী। ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নামলেও এখনো অধরা অভিযুক্তরা বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত রানীগ্রাম এলাকায়। ঘটনার পর ওই গ্রামের নিকটবর্তী মাঠ থেকে একজনকে অচৈতন্য অবস্থায় এবং আরেকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার নাবালিকার জ্ঞান ফিরলে তিনি পুলিশ এবং চিকিৎসকদের কাছে গণধর্ষণের বিষয়টি জানান। যার পরেই রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। তবে অভিযুক্তরা হাতে আসেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ বছর বয়সী আদিবাসী ওই দুই নাবালিকা স্থানীয় একটি দোকান থেকে জিনিসপত্র কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিছুদুর যাওয়ার পর এই চারজন যুবক তাদের পথ আটকায়। তারপর তাদের মুখে কাপড় বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী মাঠে।
অন্যদিকে এই ঘটনার পরেই নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, বীরভূমে এমন গণধর্ষণের ঘটনা এই প্রথম নয়। বীরভূমের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ অথবা গণধর্ষণের শিকার হওয়ার উদাহরণ রয়েছে একাধিক মহিলার।