নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্য যে রাজ্যের মাটির নিচে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টন খনিজ সম্পদ। আর এই সকল খনিজ সম্পদের মধ্যে অন্যতম হলো কয়লা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে বিপুল পরিমাণে কয়লা (Coal) মজুত রয়েছে, একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই সকল মজুত থাকা কয়লা। আসানসোল, কুলটি, পাণ্ডবেশ্বর বেল্ট ছাড়াও ইদানিংকালে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণে কয়লার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার যৌথভাবে এই সকল খনিজ সম্পদ তোলার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ঠিক সেই রকমই এবার রাজ্যে নতুন করে দুটি কয়লা খনি (Coal Mine in WB) চালু হতে চলেছে। আর ওই দুটি কয়লা খনি রাজ্যের ভাগ্য নতুন করে বদলে দেবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কেননা ওই দুই জায়গায় মজুত রয়েছে বিপুল পরিমাণ কয়লা।
রাজ্যে নতুন যে দুটি কয়লা খনি চালু করা হতে চলেছে, তা চালু হচ্ছে বিসিসিএল অর্থাৎ ভারত কোকিং কোক লিমিটেডের আওতায়। যা জানা যাচ্ছে তাতে জুন মাসেই এই সংস্থা কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করে দেবে। রাজ্যে নতুন করে এই দুটি কয়লা খনি শুরু হতে চলেছে কুলটি চৌরঙ্গি এলাকায়। কুলটির চৌরঙ্গীর এরিয়া ১২ এর অন্তর্গত শ্রবণপুর এবং বড়িয়ায় কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হতে চলেছে। গত এক সপ্তাহ আগেই টেন্ডারের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন ? Coal Mine: কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মিললো কালো সোনা, ফের বাংলার নতুন জায়গায় কয়লার সন্ধান
ইসিএল এবং বিসিসিএল যৌথভাবে চৌরঙ্গীর এই দুই এলাকায় কয়লা উত্তোলনের কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে খুব তাড়াতাড়ি ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেওয়া হবে হলেও খবর। এই দুটি কয়লা উত্তোলন প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণে কয়লা উত্তোলন করা হবে। এখনো পর্যন্ত যা অনুমান করা হচ্ছে এবং লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে তাতে ৬০ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলন করা হবে। ৬০ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলনের জন্য যে পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
চৌরঙ্গীর শ্রবণপুর এলাকায় ২৪ লক্ষ টন এবং বড়িয়ার এলাকায় ৩৬ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই সকল এলাকা ইতিমধ্যেই খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ। আর এই সকল এলাকা থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হলে নতুন করে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও সরকারেরও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন দুই এলাকার কয়লা উত্তোলনের কাজ রাজ্য এবং রাজ্যের বাসিন্দাদের ভাগ্য ফেরাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।