Two new national highways are going to be built in West Bengal: বাংলার অভ্যন্তরীণ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করে তুলতে নতুন দুটি জাতীয় সড়ক নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। দুটি জাতীয় সড়ক নির্মাণ করলে যাতায়াত ব্যাবস্থা উন্নত হওয়ার সিদ্ধান্তকে মেনে নবান্ন অতি শীঘ্রই এই কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য। নবান্নর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনের আগেই নতুন দুটি জাতীয় সড়ক (National highways in West Bengal)-এর কাজ শুরু করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকারের কার্যকরী সমিতি। সূত্র মারফত জানা গেছে এই রাস্তা তৈরির বিষয় নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এই জাতীয় সড়ক দুটি তৈরি হলে একদিকে যেমন এই রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত স্থানগুলি মধ্যে দূরত্ব কমবে, অন্যদিকে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার বাড়বে। নতুন জাতীয় সড়কপথের মাধ্যমে ব্যবসায়িক পণ্যের আমদানি-রপ্তানির সুবিধা তৈরি হওয়ায় রাজ্যের নানা উন্নতি ঘটবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দুটি জাতীয় সড়কের কাজ শুরু করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আলোচনা সেরে ফেলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে জানা গেছে ডানকুনি–বারাণসী এবং খড়গপুর থেকে মুর্শিদাবাদের মোড়গ্রাম পর্যন্ত তৈরি হবে এই দুটি জাতীয় সড়ক (National highways in West Bengal)। নতুন দুটি জাতীয় সড়কের কাজ নিয়ে এদিন উচ্চপর্যয়ের বৈঠকও সম্পন্ন হয়ে গেল নবান্নের সভাঘরে। এই দুটি জাতীয়-9 সড়কপথ মূলত ফাঁকা জমির উপর দিয়েই গড়ে তোলা হবে। এবং এমন ভাবে এই দুটি নির্মিত হবে যাতে নির্মাণ কাজের কারণে ওই অঞ্চলে বসবাস করা সাধারণ মানুষকে বিশেষ ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়। জাতীয় কোনো নির্মাণ করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হওয়ায় রাজ্যের এই দুটি নতুন জাতীয় সড়কপথ নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও একটি আলোচনা সম্পন্ন করেছে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি ও সম্মতি জানিয়েছেন।
এদিন বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই নতুন দুই জাতীয় সড়ক (National highways in west bengal) গড়তে জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ কত টাকা নির্ধারিত হবে সেই বিষয়ে ৯০ শতাংশ সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সমীক্ষা না হওয়া জেলাগুলির কাজ শেষ করতে হবে নভেম্বর মাসের মধ্যেই। এইদিন এই বৈঠকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরাও উপস্থিত ছিলেন। তাই বর্তমানে রাজ্যের মধ্যে থাকা অন্যান্য জাতীয় সড়কগুলির অবস্থা নিয়েও রিপোর্ট নেন মুখ্যসচিব।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসককে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পথের মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য। এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই দিনের এই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে বলেই মনে করছেন সরকারি কর্মকর্তারা।