লাল্টু : মৃত বাড়িতে রান্না করতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি হলো রাঁধুনি এবং তার সহযোগীর। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত দুবরাজপুর শহরে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় ফলস্বরূপ প্রাণ হারিয়েছেন ওই রাঁধুনি এবং তার এক সহযোগী।
পশ্চিম বর্ধমানের খান্দরা কোলিয়ারি থেকে বীরভূমের দুবরাজপুর শহরে এক মৃত বাড়িতে রান্নার কাজ করতে আসেন অনাথ মুখার্জি নামে ওই রাঁধুনি। বড় কাজ, আনুমানিক ১৮০০ জনের রান্নার ব্যবস্থা করার জন্য একদিন আগে থেকেই শহরে এসেছিলেন তিনি এবং তার সহযোগীরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই কাজ করে তাদের আর বাড়ি ফেরা হলো না।
জানা গিয়েছে ওই রাঁধুনি এবং তার এক সহযোগী সনাতন পোদ্দার সোমবার রাতে সাতকেন্দুরী মোড়ের কাছে থাকা একটি হোটেলে বাইকে করে খাবার কিনতে যান। খাবার কেনার পর তারা সেখানেই থাকা পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তাদের বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে একটি ১৬ চাকা লরির।
দুর্ঘটনার পরেই তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে এই ঘটনায় ঘাতক গাড়িটিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ওই রাঁধুনির সঙ্গে থাকা সহযোগী সনাতন পোদ্দার হলেন বীরভূমের ইলামবাজারের বাসিন্দা।
মৃত ওই রাঁধুনির মামা নিতাই চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, “রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তারা দুজনে একটি হোটেল থেকে খেয়ে ফিরে আসার সময় পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে গেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন এবং পরে আরও একজন। মোট ২০ জন এই রান্নার কাজে এসেছিলেন। মৃত অনাথ মুখার্জী ছিলেন মূল রাঁধুনি।”