একটা সময় ছিল যখন মধ্যবিত্ত পরিবারে গাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখা ছিল বিলাসিতা মাত্র। চার চাকা চড়া মানে ছিল কেবল ভাড়ার গাড়ি। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময় বেঁধে মালিক পক্ষের কাছ থেকে গাড়ি এবং ড্রাইভার বুক করতে হতো। তবে সেই সময় বদলেছে টাটা ন্যানো (Nano) আসার পর। কিন্তু ন্যানো (Nano) বাজার ছাড়া হবার পর মানুষ হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু এক ব্যক্তি টাটা ইন্ডিকা (Tata Indica) কে মডিফাই করে বানিয়েছেন ন্যানোর থেকেও ছোট গাড়ি।
আগে গাড়ি কেনায় ভীতি থাকলেও এখন গাড়ি কেনেন অনেকেই। তার কারণ বর্তমানে অবশ্যই আর্থিক যোগান বৃদ্ধি। এছাড়া গাড়ির দাম কমে যাওয়া ও ইনস্টলমেন্টে গাড়ি কেনার সুযোগ। আজ থেকে কিছু বছর আগে যখন বাজারে প্রথম আসতে শুরু করলো টাটা ন্যানো (Tata Nano) গাড়ি, তখন মধ্যবিত্তদের চোখে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল এই এক লাখি চার চাকা। সস্তায় স্বপ্ন পূরণের এমন বিকল্পকে রীতিমতো লুফে নিয়েছিলেন অনেকেই।
মূলত বাইক অথবা স্কুটারের বিকল্প হিসেবে বাজারে ন্যানো গাড়ি নিয়ে রতন টাটা। সিঙ্গুরে কারখানা তৈরি অবশ্য রাজনৈতিক টানাপোড়েনে সম্ভব হয়নি ঠিকই, তবে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে টাটা ন্যানো (Nano) টিকেছিল বহাল তবিয়তে। যদিও একটা সময় পর বাজার থেকে নতুন ন্যানো গাড়ি (Nano) হারিয়ে যেতে থাকে। তবে ভারতীয়রা পারে না এমন কোনো কাজ নেই। তারা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে সিদ্ধহস্ত।
সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিয়ো খুব ভাইরাল হয়েছে। সেখানে Tata Nano-র থেকেও ছোট একটি Tata Indica দেখা গিয়েছে। ওয়াসিম ক্রিয়েশনস নামক একটি চ্যানেলে ওই Tata Indica Modified মডেলটি দেখানো হয়েছে।
ওই ভিডিও তে দেখা গেছে, গাড়িতে রয়েছে মোট দুটি দরজা। সেখানে বসতে পারবেন দুজন ব্যক্তি। প্রাথমিক ভাবে, Tata Indica একটি ৫ সিটার গাড়ি। সেই গাড়িই এখন মডিফাই করার পর টু-সিটার হয়ে গিয়েছে। কীভাবে সম্ভব হল তা? প্রথমে গাড়িটি ছোট হুইলবেস আকারে কেটে নেওয়া হয় এবং তারপর ঢালাইও করা হয়। মডিফাই করার পর গাড়িটির দৈর্ঘ্য আসল মডেলের থেকে আরও ৩.৫ ফুট কমে গিয়েছে।
ভিডিয়োতেই আপনি দেখতে পাবেন যে, গাড়ির পিছনের দরজার অংশ ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এই Modified Tata Indica গাড়িটি আরও ছোট করার জন্যই তার পিছনের অংশটি বি পিলারের সঙ্গে ঢালাই করা হয়েছে। তবে মডিফাই করা হলেও গাড়ির বাম্পারগুলি কিন্তু পরিবর্তন করা হয়নি। সেগুলি মেরামত করে পুনরায় ইনস্টল করা হয়েছে। পরে ফিনিশড বডি ওয়ার্ক সহযোগে পুরো গাড়িটাকেই দেখানো হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাড়িটির সাইড ফ্লেয়ার এবং সামনে ও পিছনের বাম্পারগুলি ম্যাট কালো রং করা হয়েছে।
গাড়ির সামনের হেডলাইট দুটি এক্কেবারে নতুন। সাইড প্রোফাইলে যোগ করা হয়েছে নতুন হুইল কভার। ভিডিয়োতে লক্ষ্য করা গিয়েছে, গাড়িটির সামনের এবং পিছনের দরজা একত্রিত করে একটি কাস্টম ডোর তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া গাড়িটির বাহ্যিক থিমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ড্যাশবোর্ডে কালো ও সিলভার কালার স্কিম দেওয়া হয়েছে।