নিজস্ব প্রতিবেদন : চাকরির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চাকরিপ্রার্থীরা। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির এই আন্দোলন দেখতে দেখতে ৬০০ দিন পার করেছে। ৬০০ দিনের এই মঞ্চ থেকে আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন চাকরির মুখ দেখেছেন, তবে বাকিদের এখনো জোটেনি। যারা চাকরি পেয়েছেন তারাও কিন্তু আন্দোলনের মঞ্চ ছেড়ে পিছু হঁটেন নি।
এই সকল আন্দোলনকারীদের চাকরি কবে জুটবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও আন্দোলনের এই মঞ্চই জুড়ে দিল চার হাত। দিনের পর দিন রোদ জলবৃষ্টি, পুলিশের ডান্ডা সামলে যেভাবে দাঁত কামড়ে চলা এই আন্দোলনের মধ্যেই জন্ম নেয় নতুন এই সম্পর্কের। এই সম্পর্ক বলি চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে।
আন্দোলনের মঞ্চ থেকে সম্পর্ক তৈরি হয় নদীয়ার মিঠুনের সঙ্গে মেদিনীপুরের খুকুমনির। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর সম্প্রতি তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। নদীয়ার চাপরার মিঠুন বিশ্বাস এবং পূর্ব মেদিনীপুরের খুকুমণি দোলই নতুন জীবন শুরু করার পাশাপাশি তাদের দীর্ঘ বিশ্বাস, দেরিতে হলেও তারা চাকরি পাবেন।
তাদের দুজনের এই সম্পর্কের সূত্রপাত হয় ২০২০ সালে। ২০২১ সালে তারা আরও কাছাকাছি আসেন এবং ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। দুজনে এখন চাকরি না পেলেও এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে এগিয়ে চললেও তাদের বিশ্বাস চাকরি তারা পাবেন। তবে এখন তারা সংসার চালানোর জন্য প্রাইভেট টিউশন পড়ানোর পথ বেছে নিয়েছেন।
প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে সংসার চালানোর পথ বেছে নেওয়ার ফলে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক সময় বাঁচাতে হয়। তবে তা সত্ত্বেও তারা আন্দোলনের মঞ্চ ছেড়ে কখনো পিছু হঁটেন নি। তাদের মধ্যে কোনদিন খুকুমণি আবার কোনদিন মিঠুন আন্দোলনের মঞ্চে পৌঁছে যাচ্ছেন এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থেকে চাকরির দাবি তুলে লড়াই চালাচ্ছেন।