নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘মহব্বতে’ হোক অথবা ‘ধুম’ ছাড়া ‘মেরি ইয়ার কি শাদি হ্যায়’, ‘নীল অ্যান্ড নিকি’, ‘প্যায়ার ইমপসিবল’ প্রতিটি ছবিই বক্স অফিসে মুখ দুমড়ে পড়েছে। যশরাজ ফিল্মসের পরিচালনায় এই সকল মুখ দুমড়ে পড়া তিনটি ছবিরই নায়ক ছিলেন বলিউডের প্রথম সারির প্রযোজক যশ চোপড়ার পুত্র উদয় চোপড়া।
বাবা উদয় চোপড়া এবং দাদা আদিত্য চোপড়া নিজেদের ক্যামেরার পিছনে সীমাবদ্ধ রাখলেও উদয় চোপড়া নিজেকে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা সফল না হওয়ায় বর্তমানে তিনি আর ছবি করেন না। পাশাপাশি আগেও যেখানে তিনি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাতেও এখন আর দেখা যায় না বললেই চলে। তবে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে না পারা অথবা অভিনয় না করলেও উদয় চোপড়ার রোজগার চমকে দেবে আপনাকে।
জানা যাচ্ছে, উদয় চোপড়া এখন অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ফিরে এসেছেন তার বাবা ও দাদার দেখানো পথেই। তিনি এখন তার দাদা আদিত্য চোপড়ার ‘যশরাজ ফিল্মস এন্টারটেইনমেন্ট’-এর দেখভাল করেন। এর পাশাপাশি নিজেও একটি সংস্থা খুলেছেন, যার নাম হল ‘ইয়োমিক্স’। এই সংস্থার কাজ হল যশরাজ ফিল্মসের বিভিন্ন বিখ্যাত ছবির কমিকস তৈরি করা। আর এখান থেকেই বিপুল লাভের মুখ দেখেছেন তিনি।
উদয় চোপড়াকে প্রথম দেখা গিয়েছিল মহব্বতে সিনেমায়। যশরাজ ফিল্মসের ওই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। এছাড়াও অভিনয়ে নজর কেড়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই। এই সিনেমাতেই উদয় চোপড়ার পাশাপাশি আরও একাধিক উঠতি অভিনেতাদের লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সে সময়ই মনে করা হয়েছিল উদয় চোপড়া পরিবারের স্রোতের বাইরে গিয়ে নিজেকে আলাদা ভাবে প্রতিষ্ঠা করবেন।
কিন্তু অভিনয় করতে নেমে পাস নম্বর পাননি উদয়। অভিনয়ে পাশ নম্বর না পেলেও ব্যবসায় উদয় যেভাবে সফলতা অর্জন করেছেন তা বলে দেয় তার সম্পত্তির পরিমাণ। উদয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩৮ কোটি টাকা।