নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে যেভাবে মদের উপর ট্যাক্স বসিয়েছিল সরকার, তাতে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল দেশি থেকে বিদেশী মদ এবং বিয়ারের। সম্প্রতি সেই ট্যাক্স কমানোর ফলে দামে শিথিলতা আসে। কিন্তু এরই মধ্যে আবার বিয়ারের দাম বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে অশনিসংকেত তৈরি হয়েছে। এই খবর স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ করছে সূরা প্রেমীদের।
বিয়ারের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে এমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছে মূলত যুদ্ধের ঝাঁজে। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে ‘মিলিটারি অপারেশন’ বা সামরিক অভিযানের ঘোষণা করে দিয়েছেন। অর্থাৎ কার্যত ইউক্রেন দখলের পথেই হাঁটল রাশিয়া। আর এর ফলেই বিয়ারের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে যুদ্ধের সঙ্গে বিয়ারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্পর্ক কোথায়?
বিয়ার তৈরি করার জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম হলো গম। আর এই গম উৎপাদনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য দুটি রাষ্ট্র হল রাশিয়া এবং ইউক্রেন। গম উৎপাদনের নিরিখে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হল রাশিয়া এবং চতুর্থ দেশ হল ইউক্রেন। আবার বিয়ার তৈরি হওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় বার্লির। বার্লি রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে প্রথম পাঁচে রয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন রুশ সেনা ইউক্রেন দখলের লক্ষ্যে সেনা অভিযান শুরু করেছে সেই সময় স্বাভাবিকভাবে গম এবং বার্লি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এই যুদ্ধের বাতাবরণ গম ও বার্লির উৎপাদন এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে বিয়ার তৈরি করার ক্ষেত্রে কাঁচামালের অভাবে এবং দাম বৃদ্ধি পাবে। স্বভাবতই কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেলে দাম বাড়বে বিয়ারের।
বিয়ারের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বিয়ার সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অঙ্কুর জৈন বলেন, “বার্লির দাম আগেই বেড়েছে। এবার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বার্লির দাম ফের বাড়বে। যার জেরে শিল্পমালিকদের লাভের পরিমাণ কমবে। এখন এটাই দেখার যে সেই লাভের পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখতে সংস্থাগুলি বিয়ারের দাম বাড়ায় কিনা।”
বিয়ার ক্যাফের কোফাউন্ডার রাহুল সিং জানিয়েছেন, ‘গত দু’বছর ধরে ব্যবসায় মন্দা গিয়েছে। এবার এই যুদ্ধও বাজারে প্রভাব ফেলেছে। সুতরাং বিয়ারের দামবৃদ্ধি অস্বাভাবিক কিছু নয়।’ ওয়াকিবহাল মহলের দাবি করছে, যুদ্ধের এই বাতাবরণ তৈরি হওয়ায় বিয়ারের দামের উপর প্রভাব পড়বে। এখন দেখার বিষয় সেই প্রভাব এখনই পড়ে নাকি পরবর্তী সময়ে।