দেশ রক্ষায় যোদ্ধা রূপে ইউক্রেনের সুন্দরী সাংসদ, ভাইরাল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়েক দশকের বিতর্ক হল, বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস কিনা। এই বিতর্কের উত্তর অধরা থাকলেও শত্রুপক্ষ যখন ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই সময় বাঁচার রসদ খুঁজতে সাধারণ নাগরিকদের হাতে তুলে নিতে হয় বন্দুক। ঠিক এমনই ঘটনা এখন ঘটছে ইউক্রেনে।

যেখানেই সামরিক থেকে অর্থনৈতিক, সবদিক দিয়ে কয়েক গুণ এগিয়ে থাকা রাশিয়ার সামনে ইউক্রেন তুচ্ছ হলেও সেই দেশের সেনা এবং সাধারণ নাগরিকরা নিজেদের দেশাত্মবোধ এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো কাহিনী উঠে এসেছে। যেসকল কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

ঠিক সেই রকমই এবার সেই দেশের সুন্দরী সাংসদকে হাতে তুলে নিতে দেখা গেল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। দেশরক্ষায় যখন নাগরিকরা লড়াই চালাতে পিছপা হচ্ছেন না তখন তারতো দায়িত্ব আরও একটু বেশি, কারণ তিনি যে একজন সাংসদ। যে কারণে অবলীলায় তার হাতে উঠে এসেছে কালাশনিকভ। তার এমন ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইউক্রেনের এই সুন্দরী সাংসদ হলেন কিরা রুডিক। ওই সাংসদ জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে এখন তাকে এটাই আশার আলো দেখাচ্ছে।

নিজের টুইটার হ্যান্ডেলের সেই ছবি পোস্ট করে ওই সাংসদ লিখেছেন, “আমি কালাশনিকভ চালাতে শিখেছি এবং হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শুনতে অদ্ভুত লাগছে। কেননা ক’দিন আগেও এসব আমার মাথায় ছিল না। আমাদের পুরুষদের মতোই আমরা নারীরাও এবার দেশের মাটিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত।”

এই সাংসদ মূলত পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন। তিনি ভারতের এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, “আমি খুব খুব রেগে গিয়েছিলাম যখন যুদ্ধটা শুরু হল। আর এখনও অত্যন্ত রেগে রয়েছি। আমি এখনও বুঝতে পারছি না কেন আমাদের প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া ও পুতিন ইউক্রেনের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করছেন। এবং আমি আরও বেশি রেগে গিয়েছি নিজের শহর ছাড়ার উপক্রম হয়েছে বলে। আমার পরিবারও হুমকির মুখে পড়েছে। আর এই সবই ঘটছে একজন উন্মাদ একনায়কের ইচ্ছেতে!”