একেই বলে দেশপ্রেম, নিরস্ত্র অবস্থায় রুশ ট্যাঙ্ক আটকানোর চেষ্টা ইউক্রেনের যুবকের

নিজস্ব প্রতিবেদন : পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় দেশ ইউক্রেনের চতুর্দিকে চোখ রাখলেই এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে ধ্বংসের ছবি। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে রাশিয়া সেনাদের অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এই সুন্দর দেশটি। রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশের সামনে ইউক্রেন নগণ্য হলেও তারা যেন এই যুদ্ধে ইতিহাস রচনা করছে।

ইউক্রেনে সাধারণ মানুষ থেকে সেনাদের দেশপ্রেম এবং আত্ম বলিদানের পরিপ্রেক্ষিতেই এই ইতিহাস রচনা হচ্ছে। দিন দুয়েক আগেই ইউক্রেনের এক সেনা আধিকারিক রুশ সেনা এবং তাদের যুদ্ধ ট্যাঙ্ক আটকানোর জন্য গায়ে বোমা বেঁধে সেতু উড়িয়ে দেন। এর পাশাপাশি বহু ইউক্রেনবাসীদের খালি হাতে রুশ বাহিনীকে আটকাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। ঠিক তেমনই এক দেখা গেল এক যুবককে।

ওই যুবককে দেখা যায় একটি চলমান রুশ ট্যাঙ্ককে আটকানোর জন্য বারংবার তার সামনে চলে আসছেন। ওই যুবকের হাতে কোন অস্ত্র নেই, তারমধ্যে মরে যাওয়ার ভয় নেই। দেশকে ভালোবেসে, দেশ বাঁচাতে ওই যুবকের এমন কীর্তির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হয়েছে এবং ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে এই ঘটনাটি ঘটেছে ইউক্রেনের বাখম্যাক শহরে।

গত চারদিনে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যে যুদ্ধ হয়েছে, সেই যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখে স্পষ্ট এই যুদ্ধ অসম। রাশিয়ার প্রবল শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সামনে ইউক্রেন নগণ্য। রাশিয়ার প্রবল প্রতিপক্ষ কে আটকানো হয়তো সম্ভব নয় ইউক্রেনের। সামরিক শক্তির দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়লেও দেশের প্রতি ভালোবাসা তো আর মিথ্যা হতে পারেনা! আর সেটাই প্রমাণ করতে দেখা যাচ্ছে একের পর এক ইউক্রেনবাসীদের।

সম্প্রতি ওই যুবককের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রুশ ট্যাঙ্ক এগিয়ে আসার সময় ওই যুবক বারবার ট্যাঙ্কের সামনে গিয়ে ট্যাঙ্ক আটকানোর চেষ্টা করছেন। তারপর তিনি ওই ট্যাঙ্কের উপর লাফিয়ে উঠে পড়েন। কিন্তু এতসব এর পরেও যখন রুশ ট্যাঙ্ক ওই যুবকের এই প্রতিরোধকে কোনরকম পাত্তা দেয়নি তখন ওই যুবক মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। তবে তার পরেও তাকে সরিয়ে ট্যাঙ্ক যেতে শুরু করে গন্তব্যের দিকে।