KBC Winner Sushil Kumar: রাতারাতি কোটিপতি হওয়ায় কাল! যে সব কারণে KBC-5 জয়ী সুশীলের জীবন গেল উচ্ছন্নে

Prosun Kanti Das

Published on:

Sunil Kumar’s unexpected life after winning KBC-5: সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের একটি জনপ্রিয় শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতি। অমিতাভ বচ্চনের অসাধারণ সঞ্চালনা যা সবাইকে এই শো টি দেখতে আকর্ষণ করে। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের কুইজ করা হয় এবং এই কুইজের উত্তরের মাধ্যমে টাকা জেতা যায়। খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে কেবিসি ১৫। তবে আজকে আমরা জানব কেবিসি ৫-এর বিজয়ী সুশীল কুমারের জীবনের করুণ কাহিনীকাহিনী (KBC Winner Sushil Kumar)। ২০১১ সালে ৫ কোটি টাকার বিজয়ী হলেও আজকে তার কাছে কানা কড়ি কিছুই নেই। সবকিছু হারিয়ে আজ পুরো নিঃস্ব তিনি। তার এই করুন কাহিনীর কথা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।

কেবিসি ৫-এর বিজয়ী সুশীল কুমার (KBC Winner Sushil Kumar) ছিলেন বিহারের বাসিন্দা। ২০১১ সালে তিনি কেপিসি ৫-এ অংশগ্রহণ করেন এবং বিজয়ী হন। পেশায় ছিলেন তিনি একজন গৃহ শিক্ষক এবং তার পাশাপাশি তিনি কম্পিউটার অপারেটিং এর কাজ করতেন। বিজয়ী হওয়ার পর তিনি তার চাকরি ছেড়ে দেন। কেবিসি-৫ জেতার পর সবাই তাকে সেলিব্রেটি তকমা দিয়েছিল। ওই যে সব কিছুরই নতুন নতুন আকর্ষণ থাকে। তিনি বিহারের স্থানীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। অনেক সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ১০ থেকে ১৫ দিন বাড়ির বাইরে থাকতে হতো। যার কারণে তিনি পড়াশোনায় সময় দিতে পারতেন না। ফলে পড়াশোনায় ক্ষতি হতে থাকে।

কেবিসি-৫ জেতার পর সুশীল কুমার বিভিন্ন অনুদান দিতেন। যার অনেক গুলোর কারণই ছিল অপ্রকাশিত। এর অনুদানের পেছনে তার মাসে প্রায় ৫০হাজার টাকা খরচ হতো। স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক জীবনে ঝামেলা শুরু হতে লাগে। কারণ তিনি স্ত্রী তাকে এসব ব্যাপারে সাবধান করতেন। কিন্তু তিনি পাত্তা দিতেন না। কিন্তু তিনি আস্তে আস্তে ঠকার পরে পুরোটাই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি অতল সাগরে কিভাবে ডুবে যাচ্ছেন বুঝতে পেরেছিলেন।

এরপর তিনি দিল্লিতে তার বন্ধুর সাথে একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এর জন্য তার প্রায়শই দিল্লি যেতে হতো। জমিয়া মিলিয়ার কিছু মিডিয়ার ছাত্রদের সাথে তার পরিচয় হয় এবং সেখান থেকে সিনিয়র, এরপর জেএনইউতে গবেষণারত ছাত্র। এইরকম করতে করতে কিছু থিয়েটার শিল্পীদের সাথে পরিচয় গণ্ডিটা পার করে যায়। তাদের সঙ্গে কোন আড্ডায় শামিল হলে, সেখানে কোন বিষয়ে কথা বলতে গেলে তার নিজেকে চুনোপুটি বলে মনে হতো। এরকম কোন আড্ডায় বসলেই তাদের সঙ্গে চলতো দেদার ধূমপান মদ্যপান। এভাবে ধীরে ধীরে মাদকগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

কেবিসি ৫ বিজয়ী সুশীল কুমার (KBC Winner Sushil Kumar) ২০২০ সালে তার জীবনের কঠিন সময়ের কথা ফেসবুকের মাধ্যমে সবাইকে জানান। রাতারাতি কোটিপতি হয়েও এভাবে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। মাদকগ্ৰস্থ হয়ে পড়ায় ব্যবসার অবনতি ঘটতে থাকে। তিনি জানান, ২০১৫-২০১৬ সাল তিনি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান। বর্তমানে তিনি একজন পরিবেশকর্মী এবং সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি তার দুঃখের কথা শেয়ার করার পর একটাই কথা লিখেছিলেন, ফেমাস হওয়ার থেকে ভালো মানুষ হওয়া অনেক ভালো।