করোনা রুখতে কড়া দাওয়াই, কেন্দ্রের নির্দেশিকায় লকডাউন নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত কয়েকদিনে পাল্লা দিয়ে এই সকল সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। আর এমত অবস্থায় করোনা রুখতে দেশের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। যে নির্দেশিকায় স্থানীয়ভাবে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা এবং লকডাউনের জল্পনা তৈরি হয়েছে।

Advertisements

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় সংক্রমণের হার অত্যাধিক সেই সকল এলাকাগুলিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত করার পাশাপাশি সেই সকল এলাকায় জোর দিতে হবে যাতে আর সংক্রমণ না বাড়ে। এক্ষেত্রে দুটি নির্দিষ্ট শর্তের কথা বলা হয়েছে।

Advertisements

শর্তের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহে যদি ১০ শতাংশের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন এবং যদি আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি থাকেন এবং অক্সিজেন সাপোর্টে থাকেন সে ক্ষেত্রে সেই জেলাগুলি এবং এলাকাগুলির ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Advertisements

কড়া পদক্ষেপ হিসাবে স্থানীয়ভাবে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা এবং ১৪ দিনের জন্য কড়া নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে যাতে করে সংক্রমণের শৃঙ্খলা ভেঙে দেওয়া যায়। ওই সকল এলাকায় যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ জমায়েত করতে না পারেন তার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। এলাকাগুলি প্রতি সপ্তাহের ভিত্তিতে নজর রাখতে হবে।

[aaroporuntag]
আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নির্দেশিকার পর স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হচ্ছে লকডাউনের জল্পনা। পাশাপাশি লক্ষ্য করা গেছে দেশের একাধিক রাজ্য প্রথম দিকে লকডাউন না করার পথে হাঁটলেও পরে তারা বেগতিক পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন করতে বাধ্য হয়। এমত অবস্থায় কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় স্থানীয়ভাবে কনটেইনমেন্ট জোন এবং কড়া পদক্ষেপ হিসাবে স্থানীয় প্রশাসন ক্যাডার লকডাউনের পথকেই বেছে নিতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements