নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে কিনা তা নিয়ে চরম জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতারা বারংবার রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার অরাজগতাকে তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলছেন। আর এমত অবস্থাতেই পশ্চিমবঙ্গের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। যার পরেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
শনিবার সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘নিউজ ১৮’-এর মুখোমুখি হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে যেমন সুশান্ত সিং রাজপুত, চীন ইত্যাদি নানান সাময়িক প্রসঙ্গ ওঠে, ঠিক তেমনি পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ ওঠে। আর এই প্রসঙ্গ উঠতেই অমিত শাহ জানান, ‘বাংলায় বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে বিজেপি নেতাদের রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি সঙ্গত।’ অর্থাৎ এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয় সহ অন্যান্য যে সকল বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে যে জোরালো সাওয়াল করছেন তা সঙ্গত।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পরও অনুদান নিয়ে দুর্নীতি দেখা গিয়েছে। কেন্দ্র সরকার থেকে পাঠানো খাদ্য সামগ্রী পৌঁছায়নি। এমনকি করোনা মোকাবিলার জন্য যে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল তা-ও রাখা হয়নি। দুর্নীতির চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।”
তবে এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়ে দেন যে, “কোন রাজনৈতিক দলের নেতার দাবিমতো কোন জায়গায় রাষ্ট্রপতি শাসন হয় না। ভারতীয় সংবিধানে যে নিয়মের কথা বলা হয়েছে সেই নিয়ম মেনেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। কোন রাজ্যে বা এলাকায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আগে রাজ্যপালের রিপোর্ট, সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে, তারপরই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।”
অন্যদিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি সরকার আসবে বলেই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর মুখের সামনে রেখেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় লড়বে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলায় পরিবর্তন আসবেই। এখন তৃণমূলকে হটাতে অগ্রাধিকার।”