ফের বাড়লো লকডাউনের মেয়াদ, নয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে প্রথম দফায় লকডাউন শুরু হয়েছিল ২৪শে মার্চ। সেই লকডাউনের মেয়াদ ১৪ ই এপ্রিল শেষ হওয়ার আগেই বাড়ানো হয় ৩ মে পর্যন্ত। আর এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শুক্রবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলো আরও দুই সপ্তাহের জন্য। তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হবে মে মাসের ৪ তারিখ থেকে, চলবে আগামী ১৭ ই মে পর্যন্ত।

শুক্রবার বিকাল বেলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি ও তার সামগ্রিক পর্যালোচনা করার পরেই কেন্দ্র সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে সাথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, দেশে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে এই লকডাউনের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে করোনা মোকাবিলায়। তাই ভারত সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে চিহ্নিত করা রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনভুক্ত এলাকায় কোথায় কতটা ঝুঁকি রয়েছে, কিভাবে চলতে হবে, কতটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কিসের কিসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, এইসব সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনভুক্ত এলাকায় কিসের কিসের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়।

শুক্রবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, চিফ অফ ডিফেন্স বিপিন রাওয়াত ও আরও অনেক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। তারপরেই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। তবে নতুন করে লকডাউন বৃদ্ধির পাশাপাশি আগামী দিনে নতুন কিছু গাইডলাইন প্রকাশ করতে পারে কেন্দ্র সরকার বলে সূত্রের খবর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা

অন্যদিকে ৩০ এপ্রিল কেন্দ্র সরকার নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় দেশের কোন কোন জেলা বর্তমান পরিস্থিতিতে রেড, অরেঞ্জ অথবা গ্রিন জোনে রয়েছে। নতুন করে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী জানা যায় পশ্চিমবঙ্গে রেড জোনের সংখ্যা বেড়েছে আরও ৬টি। আর এই তালিকা তৈরি করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছে তা হল, যেসকল অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি অথবা গত ২১ দিনে সংক্রমণের খবর আসেনি সেগুলি গ্রিন জোনভুক্ত এলাকা। যে সকল এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা সব থেকে বেশি সেগুলি রেড জোন। আর রেড অথবা গ্রিন জোনভুক্ত নয় এমন জেলাগুলি হল অরেঞ্জ জোনভুক্ত। আর এই জোন ভাগের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোন রাজ্য চাইলে পরিস্থিতির বিচারে রেড অথবা অরেঞ্জ জোন বাড়াতে পারে কিন্তু কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করে দেওয়া তালিকা থেকে রেড অথবা জোনের সংখ্যা কমাতে পারবে না।