নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নাগরিকদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভোটার কার্ড (Voter Card), প্যান কার্ড (Pan Card), রেশন কার্ড (Ration Card), ঠিক সেই রকমই গুরুত্বপূর্ণ আধার কার্ড (Aadhaar Card)। অন্যান্য কার্ডের থেকেও আধার কার্ডের গুরুত্ব অনেক বেশি। আধার কার্ডের মাধ্যমে সরকারের কাছে দেশের নাগরিকদের সম্পর্কিত নানান নথি তথ্য ভান্ডার হিসাবে সঞ্চিত থাকে। তবে এবার এই আধার কার্ডকে ছাপিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ এক কার্ড চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও তথ্য ভান্ডার তৈরি করার জন্য রাজ্য জুড়ে সমীক্ষা চালানো হবে এবং সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রত্যেক পরিবারকে নির্দিষ্ট পরিচিতি প্রদান করা হবে। এই পরিচিতি হবে ইউনিক আইডেন্টিটি। আধার কার্ডের ক্ষেত্রে যেমন ইউনিক আইডেন্টিটি রয়েছে, ঠিক সেই রকমই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে তাতেও ইউনিক আইডেন্টিটি থাকবে।
আধারের ক্ষেত্রে যেমন দেশের প্রতিটি নাগরিকের তথ্য সরকারের ঘরে মজুত রাখা হয়, ঠিক সেই রকমই রাজ্য সরকারের বিশেষ এই কার্ড রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের তথ্য মজুত রাখবে। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ব্যবস্থা চালু হলে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের খুঁটিনাটি তথ্য যেমন সরকারের ঘরে থাকবে, ঠিক সেই রকমই আবার তাদের পরিবারের কোন সদস্য সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন অথবা পাচ্ছেন না তাও জানা যাবে।
এছাড়াও এই ধরনের কার্ড চালু হলে নাগরিকরা বেশ কিছু সুবিধা পাবেন আর সেই সকল সুবিধার মধ্যে অন্যতম হলো সরকারি প্রকল্পের দ্রুত সুবিধা পাওয়া। এমনিতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে নথিপত্র জমা দিতে হয় আর সেই নথিপত্র যাচাই করে সুবিধা দিতে অনেকটা সময় লাগে। কিন্তু নতুন যে আইডেন্টিটি তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে আগাম সরকারের কাছে রাজ্যের বাসিন্দাদের নথি থাকবে। ফলে অনেক কম সময়ে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যাবে।
কর্ণাটক সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই ধরনের একটি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে আর তার নাম কুটুম্ব। পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইছে এই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে রাজ্যেও পরিবারভিত্তিক একটি ডেটাবেস তৈরি করার। পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের যে পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে তার মানদণ্ড হিসাবে খাদ্য সাথীকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।