নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো দেড়শ কোটি দেশের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন ট্রেনের উপর নির্ভর করে যাতায়াত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় রেলকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়। গন পরিবহনের এই মেরুদন্ডে যেমন ট্রেন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। তবে ভারতে যে সকল রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে তার মধ্যে বেশকিছু রেলওয়ে স্টেশন অবাক করার মতই।
এই সকল অবাক করা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে একটি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে যেটি হল নওয়াপুর। এই রেলওয়ে স্টেশনটি কোন নির্দিষ্ট রাজ্যের মধ্যে পড়ে না। গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত এই রেলস্টেশনটির কিছু অংশ পড়ে গুজরাটে এবং কিছু অংশ মহারাষ্ট্রে। এই রেলওয়ে স্টেশনে বেঞ্জ থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় রাজ্যের নাম লেখা রয়েছে।
তবে শুধু এই রেলওয়ে স্টেশনটি এমন বৈশিষ্ট্য বহন করে এমন নয়। এর পাশাপাশি আরও একটি রেলওয়ে স্টেশন ভাওয়ানি-মান্ডি দুটি রাজ্যের মধ্যে পড়ে। এই রেলস্টেশনটি বর্তমানে একটি রাজ্যের অধীনে থাকলেও এই রেলস্টেশনে যখন কোন ট্রেন দাঁড়ায় সেই সময় হয় তার কোচ রাজস্থানের মধ্যে পড়ে অথবা ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশের মধ্যে পড়ে। আবার কখনো ঠিক উল্টোটা হয়। এই রেলস্টেশনের এক প্রান্তে রাজস্থানের বোর্ড এবং অন্যপ্রান্তে মধ্যপ্রদেশের বোর্ড লাগানো রয়েছে।
বর্তমানে নামহীন অবস্থায় একটি রেলস্টেশন রয়েছে ঝাড়খন্ডে। আগে এইরকমই একটি রেলস্টেশন ছিল পশ্চিমবঙ্গে। যদিও সেই রেলস্টেশনটি বর্তমানে নাম পেয়েছে। ঝাড়খন্ডে নামহীন অবস্থায় যে রেলস্টেশনটি রয়েছে সেটি অবস্থিত রাঁচি থেকে টোরির লাইনে। এই রেলওয়ে স্টেশনের নাম রাখা হয়েছিল বারকিচাম্পি। কিন্তু কামলে গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি তারা রেললাইন তৈরি করার জন্য জমি দিয়েছিলেন এবং সেই জন্য এই রেলস্টেশনের নাম তাদের গ্রামের নামে রাখতে হবে। এই বিতর্কের মাঝে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নাম সরিয়ে নেয়। তখন থেকেই নামহীন অবস্থায় রয়েছে এই রেলওয়ে স্টেশন।
দেশের বাইরে ভ্রমণ করার জন্য ভিসা এবং পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। তবে ভারতীয় রেলের এমন একটি রেলস্টেশন রয়েছে যে রেল স্টেশনটিতে যাওয়ার জন্য ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা লাগে। এই রেল স্টেশনে যেতে হলে পাকিস্তানি ভিসা নিতে হয়। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এই রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারত পাকিস্তানকে যুক্ত করার জন্য ছাড়া হয় সমঝোতা এক্সপ্রেস।