Precious Metal: সোনা রুপোকে টেক্কা! এবার ভারতে বাড়ছে আরও একটি ধাতুর ব্যবহার

Antara Nag

Published on:

Advertisements

The use of this Precious Metal is constantly increasing in India, surpassing gold and silver: আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু দামী ধাতু ব্যবহার করে থাকি। গয়না হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই ধাতুগুলিকে। যেমন সোনা, রুপা, প্লাটিনাম ইত্যাদি। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে আরও একটি ধাতু (Precious Metal) ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ভাবছেন তো ধাতুটি কি? ধাতুটির নাম দস্তা। সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে দস্তার ব্যবহার এখনো পর্যন্ত নেই বললেই চলে। মূলত লোহায় জং ধরা আটকাতে ব্যবহার করা হয় দস্তা। কিন্তু বর্তমানে বাজারে দস্তার চাহিদা বাড়ছে ব্যাপক হারে।

Advertisements

বাজারে দস্তার চাহিদা নির্ভর করে মূলত ইস্পাতের চাহিদার উপর। এখনো পর্যন্ত ভারতবর্ষে দস্তার চাহিদা বিশ্বের তুলনায় অনেকটাই কম। কিন্তু খুব শীঘ্রই এই ধাতুর (Precious Metal) চাহিদা বাড়তে চলেছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জিংক অ্যাসোসিয়েশন। তাদের মতে ভারতীয় বাজারে দস্তার চাহিদা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাবে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এই মুহূর্তে ভারতে বছরে প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ টন দস্তার চাহিদা থাকে। খুব শীঘ্রই এই পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে বলে আশা করছে ইন্টারন্যাশনাল জিংক অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisements

ইন্টারন্যাশনাল জিংক অ্যাসোসিয়েশনের গ্লোবাল ডিরেক্টর মার্টিন ভ্যান লিউয়েন জানান, লৌহ ইস্পাত শিল্পের বাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। যেহেতু লোহাকে সুরক্ষিত রাখতে জিংক ব্যবহার করা হয়, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ইস্পাতের চাহিদার পাশাপাশি বাড়ছে জিংকের চাহিদাও। আর বাজারে চাহিদা বাড়লে বাজার মূল্যও যে বৃদ্ধি পাবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই সংস্থার। বরঞ্চ খুব শীঘ্রই হয়তো সোনা রুপাকে টক্কর দেবে এই ধাতুটিও (Precious Metal)।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Gold Reserve: ভারতে আর কত! এই দেশে রয়েছে ১০ গুণ বেশি সোনা, বিশ্বে কত নম্বরে রয়েছে ভারত

বৈশ্বিক দিক থেকে জিংকের চাহিদা ব্যাপক হলেও, ভারতীয় বাজারে এই ধাতুর (Precious Metal) চাহিদা একেবারেই কম। ভারতে ব্যক্তিগত জীবনে জিংক ব্যবহারকারী নেই বললেই চলে। তাই ভারতীয় বাজারে দস্তার চাহিদা বছরে ৮০০ থেকে ১০০০ টনের মধ্যেই থাকে। অর্থাৎ ব্যক্তিভিত্তিক ৫০০ গ্রাম করে জিংক ব্যবহার করে থাকে সকলে। বৈশ্বিক ক্ষেত্রে এর ব্যবহার মাথাপিছু প্রায় ৪ কেজির কাছাকাছি। আমেরিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উন্নত দেশগুলিতে জিংক এর চাহিদা মাথাপিছু ৬ থেকে ৭ কেজিও হতে পারে।

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জিংকের বাজারদর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লিউয়েন বলেন, যেহেতু এখন বেশিরভাগ মানুষই গ্রীন এনার্জির প্রতি আকৃষ্ট, তাই জিংকের বাজার বৃদ্ধি করার এটা একটা বড় সুযোগ। ধাতুর (Precious Metal) বাজারে সোনা, রুপার চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সৌর প্যানেলের কাজে কিংবা বৈদ্যুতিক যান তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় রুপোর। তাই রুপোর চাহিদা আর দাম দুটোই বেড়ে চলেছে বিশ্বের বাজারে। একই সাথে চীনে হঠাৎ করে সোনার চাহিদা অনেকটা বেড়ে গেছে। তাই হঠাৎ করেই সোনার দামও এক লাফে বেড়ে গেছে অনেকখানি। পাশাপাশি এবার বাড়বে দস্তার দামও।

Advertisements