Advertisements

Antilia of Mirzapur: ৪ স্ত্রী নিয়ে রাজার মত বাস! আম্বানিকে টেক্কা দিতে ডুপ্লিকেট অ্যান্টিলিয়া বানালেন এই ব্যক্তি

Prosun Kanti Das

Published on:

Majnu of Mirzapur, created Antilia to lead a royal life: আমরা সবাই জানি যে মুকেশ আম্বানি হলেন বর্তমানে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ধনকুবের। তিনি স্বাভাবিকভাবেই রাজার মত বসবাস করেন। তিনি অ্যান্টিলিয়া নামক একটি বিলাসবহুল বহুতলে বাস করেন যেটি বারংবার রিপোর্টারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং খবরে জায়গা করে নিয়েছে বারবার। তবে আপনি কি জানেন এমন এক ব্যক্তি আছে যিনি খোদ আম্বানির সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য বানিয়েছিলেন অ্যান্টিলিয়া অফ মির্জাপুর (Antilia of Mirzapur)। হ্যাঁ, বিষয়টা শুনতে প্রথমে অত্যাশ্চর্য লাগলেও এটা খাঁটি সত্যি কথা।

Advertisements

জানতে চান কেনো ওই ব্যক্তি এরকম কাজ করেছিলেন? উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল রাজকীয় জীবনযাপন করা। আর সেই সুপ্ত বাসনাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে তিনি গ্রামের মধ্যে একটি ১৪ তলা বাড়ি তৈরি করেন যা অ্যান্টিলিয়া অফ মির্জাপুর (Antilia of Mirzapur) নামে পরিচিত কারণ এটি দেখতে কিছুটা অ্যান্টিলিয়ার মতোই। তবে এই ব্যক্তিকে মির্জাপুরের মজনুও বলা চলে কারণ ইনি একবার নয়, চারবার বিবাহ করেছেন। কিন্তু এই বাড়িই যে তার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে সেটা বোধয় তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি।

Advertisements

তথ্যসূত্র মারফত জানা যায় যে ওই ব্যক্তির নাম সিয়ারাম প্যাটেল যিনি পেশায় একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। তিনি মির্জাপুরের শ্রুতিহারে বাস করেন। কোনো আইন না মেনে তিনি এই ১৪ তলা প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। সচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো রাজকীয় জীবন কাটানোর জন্য তিনি চারবার গাঁটছড়া বাঁধেন। তিনি বর্তমানে ছয় সন্তানের পিতা। তারই কন্যা এসডিএমের কাছে আবেদন করে ওই বেআইনিভাবে তৈরি করা বাড়িটি সিল করে দেন। তাঁর কন্যা অভিযোগ করেছেন যে তার পিতা অর্থাৎ সিয়ারাম নাকি তাদের দায়িত্ব নেননি। তারপর এসডিএমের নির্দেশ অনুযায়ী এই প্রাসাদোপম বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়।

Advertisements

গ্রামবাসীদের মধ্যে রামেশ্বর গন্ড নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন যে রাজার মত খ্যাতি অর্জন করার জন্যই নাকি সিয়ারাম এরকম একটু ভবন নির্মাণ করেন। তিনি নাকি আরো উচু প্রাসাদ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই নির্মাণ পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন যে এই প্রাসাদটি কোনরকম মান বিচার না করেই তৈরি করা হয়েছে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় গ্রামবাসীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং আশপাশের বাসিন্দারা ওইসময় নিজেদের ঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন শুধুমাত্র নিজেদের জীবন বাঁচাতে। প্রাণের ভয়ে অনেক মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন চিরতরে এবং অনেকদূরে গিয়ে নিজেদের বাসস্থান গড়ে তুলেছেন।

Antilia of Mirzapur

সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো পথচারীরা অনেকবার এই বহুতল বাড়িটি দেখার জন্য দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। অনেকের কাছেই এই অ্যান্টিলিয়া অফ মির্জাপুর (Antilia of Mirzapur) এখন একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে গেছে। তাই অনেকেই চান এই প্রাসাদটি চাক্ষুষ দেখতে। মির্জাপুর কেনো চারপাশের কোনো জেলাতে এরকম ১৪ তলার কোনো বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

Advertisements