নিজস্ব প্রতিবেদন : টিকাকরণ করার ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে। টিকা দেওয়ার দায়িত্ব দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হলো। টিকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ না থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে টিকা দেওয়ার যে দুটি ভাগ করা হয়েছে তার প্রথম ভাগে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি দেখবেন স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে থাকা হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি এই সাধারণ মানুষদের কিভাবে টিকা দেওয়া হবে তা খতিয়ে দেখবে।
অন্যদিকে দ্বিতীয়ভাগে রাখা হয়েছে সেই সকল ব্যক্তিদের যাদের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। এই সকল ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি জেলাশাসকদের সাথে সমান্তরাল সম্পর্ক তৈরি করে দেখবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ইতিমধ্যে এই সকল ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার আকারে দেখা হচ্ছে। এদের টিকাকরণ ইতিমধ্যেই চলছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আর এই বিভাগে কারা কারা পড়ছেন তার তালিকা সামনে আনলো রাজ্য সরকার।
১) সরকারি, আধা-সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষকরা যারা এখনো পর্যন্ত টিকা নেননি তারা এবং তাদের পরিবারের লোকজনেরা।
২) রেশন ডিলার, কেরোসিন ডিলার, গ্যাসের ডিলার, পেট্রলপাম্পের কর্মী সহ জরুরী এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সাথে যুক্ত মানুষেরা। সেক্ষেত্রে ডিলার এবং তাদের কর্মীদেরও টিকাকরণ করা হবে।
৩) ট্যাক্সি, অটো, টোটো ও রিকশাচালক এবং অন্যান্য গণপরিবহণের সাথে যুক্ত থাকা কর্মীরা।
৪) আইনজীবী, মুহুরি, ক্লার্ক ও আদালতের সাথে যারা যুক্ত রয়েছেন সেই সকল ব্যক্তিরা।
৫) রূপান্তরকামীরা এবং যৌনকর্মীরা।
৬) সাংবাদিক এবং সংবাদপত্রের সাথে যুক্ত থাকা হকার সহ অন্যান্য হকাররা।
৭) করোনা পরিস্থিতিতে যেসকল ব্যক্তিরা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন তাদের এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
[aaroporuntag]
৮) পাশাপাশি এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে সামাজিক হোম এবং সংশোধনাগারের আবাসিকদের।