নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত এই মুহূর্তে করোনা মহামারীর প্রধান কেন্দ্র হতে চলেছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে আমেরিকা, ব্রাজিলের পরেই ভারতের স্থান। দেশজুড়ে চলছে আনলক-২ পর্ব। সুস্থ হয়ে ওঠার হার বাড়লেও প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন COVAXIN-এর কথা ১৫ই আগস্ট লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানাবেন। তড়িঘড়ি এই ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। কারণ করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করারও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা।
তবে বিজ্ঞান মন্ত্রক রবিবার জানিয়ে দিল, ২১ সালের আগে এই ভ্যাকসিন মেলার কোন সম্ভবনা নেই। যদিও আইসিএমআর (ICMR) ও NIV জানিয়েছিল কোভ্যাক্সিন (COVAXIN) তৈরির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে ভারতীয় গবেষণা সংস্থাগুলি। আগষ্ট মাসেই মানুষের শরীরে সফলভাবে প্রয়োগ হতে পারে এই টিকার। ৬টি ভারতীয় সংস্থা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। COVAXIN এবং ZYCOV-D সহ ১১ টির মতো টিকা মানব দেহে প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে।
কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বদল ঘটালো আইসিএমআর। জানিয়ে দিল ২০২১ সালের আগে আমজনতার ব্যাবহারে এই টিকা আসবেনা। সেইসঙ্গে যে দুটি বিদেশি সংস্থা টিকা তৈরির জন্য ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল তাদের তৈরি টিকা যে গুণগতভাবে ঠিক ও নিরাপদ তা মানব শরীরে ট্রায়ালের মাধ্যমে প্রমাণ দিতে হবে। এই সংস্থাগুলির ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
এই ভ্যাকসিনগুলিকে বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আসতে হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিনটি কতটা নিরাপদ তা প্রমাণ করতে হয়। তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিনটির কার্য ক্ষমতা প্রমাণ করতে হয়। এটি করতে তিন মাস থেকে এক বছর লেগে যেতে পারে। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিন আসতে এখনও অনেকদিন বাকি। করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার একমাত্র পথ খোলা আছে শুধু মাত্র Hard Immunity দ্বারা।
ICMR process to develop vaccine to fight Covid 19 pandemic as per globally accepted norms of fast tracking.
Safety and interest of people of India the topmost priority pic.twitter.com/qzO6yNCYh0— ICMR (@ICMRDELHI) July 4, 2020
এই সিদ্ধান্তের পিছনে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলে বিরোধীরা মনে করেছেন। তাদের অভিযোগ করোনা প্রতিষেধককে কাজে লাগায়ে বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিতে চাইছে বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসক দল।