শুভেন্দু অনিশ্চিত! এবার বেসুরো আরও দুই তৃণমূল বিধায়ক

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার রাতে উত্তর কলকাতায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সাথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পর যেভাবে তৃণমূলের তরফ থেকে সৌগত রায় দাবি করেছিলেন তাতে মনে হয়েছিল সব বরফ গলে গেছে। কিন্তু সূত্র মারফত জানা যায় বুধবার শুভেন্দু সৌগত রায়কে টেক্সট মেসেজে করেন। আর সেই টেক্সট মেসেজের মূল বিষয়বস্তু হল, “শর্ত রাখা হয়নি। এইভাবে তৃণমূলের সাথে কাজ করা সম্ভব নয়।”

Advertisements

আর এই ঘটনার পরে তৃণমূলের তরফ থেকেও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। সৌগত রায় জানিয়েছেন, “শুভেন্দু সিদ্ধান্ত বদল করলে কিছু করার নেই।” এমত অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারী অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে শুভেন্দু ছাড়াও এবার বেসুরো একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। আর এই বেসুরো তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুজন হলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত এবং বালির বিধায়িকা বৈশালী ডালমিয়া।

Advertisements

শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দেওয়ার পরেই তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত জানিয়েছিলেন, “আমি শুভেন্দুর ফ্যান। শুভেন্দু যা করেছে একেবারে ঠিক।” এরপর রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তার বাড়িতে তার সাথে দেখা করতে গেলে তা দেখাও পাওয়া যায়নি। তারপরই আবার হঠাৎ ফেসবুকে গেরুয়া রঙের ওপর লিখেছেন ‘বন্ধু দেখা হবে….।’

Advertisements

অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়কা বৈশালী ডালমিয়া সরব হয়েছেন ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব নিয়ে। যেখানে তিনি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “এরা তো হামেশাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলেন। বাইরে থেকে কেউ আসলে বহিরাগত বলেন। এদের জানা নেই ভারত একটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান। তাঁকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে, আমি তো কোথাকার কে!”

শীলভদ্র দত্ত আগেই জানিয়েছিলেন নির্বাচনে আর তৃণমূলের হয়ে দাঁড়াবেন না। তবে এবার বৈশালী ডালমিয়ার ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব নিয়ে নিজের দলের একাংশকেই যে ভাবে আক্রমণ করেছেন তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ যেখানে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে বারংবার বহিরাগত তত্ত্ব তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন সেখানে এই তৃণমূল বিধায়ক আর এমন মন্তব্য সত্যিই বেসুরো। আর এসবের পরেই বিক্ষুব্ধ এই তৃণমূল নেতাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

Advertisements