নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার মুহূর্তেই রেলের তরফ থেকে বড় একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আর সেই বড় সিদ্ধান্ত হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি করা। রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশ কিছু রুটে এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে (Vande Bharat Speed Increase) করা হবে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার।
ভারতীয় রেল (Indian Railways) দেশের নাগরিকদের এখনও পর্যন্ত যে সকল ট্রেন উপহার হিসাবে দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এটি হলো দেশের প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন, তাও আবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এই ট্রেনের গতিবেগ ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে। তবে শুধু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নয়, এর পাশাপাশি রাজধানী এক্সপ্রেস, অগাস্ট ক্রান্তি এক্সপ্রেস, তেজস এক্সপ্রেস, শতাব্দি এক্সপ্রেসের মত ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি করা হবে।
এই সকল ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি করা হবে আগামী ১৫ আগস্ট থেকে। রেলের এমন সিদ্ধান্তের ফলে যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গন্তব্যে পৌঁছাতে অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত সময় বাঁচতে পারে। তবে সমস্ত রুটে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা কিন্তু নয়। রেলে তরফ থেকে বেছে নেওয়া বেশকিছু রুটের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বেছে নেওয়া ঐ সকল রুটে আগামী ১৫ আগস্ট থেকে বদল আসছে ট্রেনের গতিতে।
রেলের তরফ থেকে যে সকল রুটে ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো দিল্লি-মুম্বাই রুট। ১২৯৫৩ নিজামউদ্দিন মুম্বাই অগাস্ট ক্রান্তি এক্সপ্রেস, ১২৯৫১ মুম্বাই সেন্ট্রাল-নতুন দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আগে যেখানে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মধ্যে যাতায়াত করতে ১৬ ঘন্টা সময় নিত, সেই জায়গায় এখন যাত্রা শেষ করবে ১২ ঘণ্টাতেই। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটারে তোলার জন্য রেলের তরফ থেকে প্রচুর কাজ করা হয়েছে।
মুম্বই-আহমেদাবাদ, মুম্বই-ভদোদরা, ভদোদরা-দাহোদ এবং দাহোদ-নাগদা রুটকেও সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। এই সকল রুটের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটারে উন্নীত করার জন্য রেলের তরফ থেকে সিগনালিং ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি ওভারহেড যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় যে সকল রেলগেট রয়েছে তার বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ গতিবেগ বাড়িয়েও যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য অন্যতম জরুরি ব্যবস্থা কবচ স্থাপন করা হয়েছে। সুতরাং গতিবেগ বাড়লেও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে না, পাশাপাশি ভাড়াও বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণে কোন বাড়তি খরচের চিন্তাও থাকছে না।