খাবারের পর আরও বড় অভিযোগ, বন্দে ভারত নিয়ে মোহ ভাঙছে যাত্রীদের

Antara Nag

Published on:

Advertisements

বন্দে ভারতের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় গত শুক্রবার। তারপরই ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ রবিবার সাধারনের জন্য যাত্রা শুরু করে দেয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আর তারপরেই একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন যাত্রীরা। সকলের মতে নিম্নমানের পরিষেবায় আশাহত হয়েছেন যাত্রীরা।

Advertisements

রবিবার দুপুরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তারপর হাওড়া স্টেশনের ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে এটি। আর ট্রেন থেকে নামার পরই একাধিক অভিযোগ নিয়ে হাজির হয় যাত্রীরা। একজন যাত্রী অভিযোগ করেন যে, নন-ভেজে ফিশ ফিঙ্গার রাখা হলেও সেটা অনেকেই পাননি। বিকেলের যে টিফিনের ব্যবস্থা ছিল তাতে রসগোল্লা, সন্দেশ রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শুধু একটা করে শুকনো মিষ্টি দিয়েই শেষ পাতে ইতি টেনে দিল।

Advertisements

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সি-ফোর কামরার এক যাত্রী বলেন যে, খাবার খুব একটা স্বাদে ভালো নয়। এমনকি অনেককে তার নিজের গিয়ে হাতে করে ট্রে করে খাবার আনতে হয়েছে। আর এক যাত্রীর কথায় জানা যায় যে, ওয়েলকাম ড্রিঙ্ক হিসেবে ডাবের জল দেওয়ার কথা হয়েছিল, কিন্তু সেটা চোখেও দেখলাম না। এক মহিলা যাত্রীর দাবি করেন, “ট্রেনে বিনা টিকিটেও কিছু যাত্রী উঠেছিলেন! আরপিএফকে জানিয়েও লাভ হয়নি।”

Advertisements

এক যাত্রী অভিযোগ করেন যে, মালদা থেকে উঠার পর দেখা গেল ইন্ডিয়ান টয়লেট উপচে উপচে পড়ছে। তারপর রেলের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়ার পর কোনোরকমে ঠিক হয়। তারপর আবার সেই সমস্যা শুরু হয়। ওই যাত্রীর বক্তব্য, “দরজার সেন্সরও কাজ করছিল না। হাত দিয়ে ঠেলে দরজা লাগাতে হয়েছে।”

অন্য এক যাত্রীর বক্তব্যতে উঠে আসে যে, এটা যেহেতু প্রিমিয়াম ট্রেন এবং এটি পশ্চিমবঙ্গের জন্য, ট্রেনের কর্মচারীদের বাংলা ভাষা বোঝা উচিৎ ছিল। কিন্তু তারা অনেকেই বাংলা ভাষা বুঝতে পারেনি।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলছেন, “এই ট্রেনকে ঘিরে জনমানসে যে উন্মাদনা, তাতে একটি আসনও ফাঁকা যাবে না। বুকিংয়ের যা ট্রেন্ড দেখছি, তাতে সারা বছরই এই ট্রেন হাউসফুল চলবে।” যদিও সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফাঁকাই ছিল এই ট্রেনের একাধিক আসন। সেই তুলনায় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া আসার বা যাওয়ার ট্রেন তুলনামূলক বেশি ভর্তি ছিল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisements