নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরে ভারতের রেল পরিষেবাকে ঢালাও সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার। এইসকল পরিষেবার মধ্য দিয়ে মূলত যাত্রী সুরক্ষা এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে। ভারতের রেল পরিষেবাকে সাজিয়ে তোলার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ হলো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা দেশের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে বদ্ধপরিকর হয়েছে কেন্দ্র। চলতি বছর বাজেটে বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবার জন্য। কেন্দ্র সরকারের যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে ২০২৩ সালের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৪০০ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন দেশের বিভিন্ন কোনে চালানো হবে। তবে সম্প্রতি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়া এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর চাকা আটকে পড়েছে ইউক্রেনে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেরর চাকা নির্মাণের জন্য ইউক্রেনের একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু সেই সকল চাকা তৈরি হওয়া এবং ডেলিভারি দেওয়ার আগেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ লাগে ইউক্রেনের। যে কারণে সেই সকল চাকাগুলি ভারতে আসার আগেই আটকে পড়েছে ইউক্রেনে। এর ফলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
তবে এই পরিস্থিতিতে যাতে রেলের বৈপ্লবিক পরিবর্তন বাধাপ্রাপ্ত না হয় তার জন্য বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের ওই সংস্থা থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকাগুলি এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হবে ভারতে।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের ওই সংস্থা থেকে ১২৮টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে রোমানিয়ায়। সেগুলিকে সেখান থেকে এয়ারলিফট করে ভারতে আনা হবে। অন্যদিকে ঠিক সময়ে যাতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো সম্ভব হয় তার জন্য এবার চাকা তৈরীর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে চেকপ্রজাতন্ত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পোল্যান্ডের সংস্থাকে। জানা যাচ্ছে ভারত সরকারের তরফ থেকে ইউক্রেনের ওই সংস্থাকে ১৬ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ৩৬ হাজার চাকা অর্ডার দিয়েছিল।